কাবুলে মেয়াদ বাড়াল জাতিসংঘ মিশন, তালেবানের অভিনন্দন

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন ইউএনএএমএ’র মেয়াদ ১২ মাস বেড়েছে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান সরকার। দেশটির সরকার আশা করছে, জাতিসংঘের পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত থাকার জন্য উপকারী হবে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। টোলো নিউজ।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মিশন

ইসলামিক এমিরেট আফগানিস্তানের ডেপুটি মুখপাত্র বিলাল করিমি বলেন, এটি একটি ভাল পদক্ষেপ। আমরা আগামী বছর জাতিসংঘের সঙ্গে ভাল সম্পৃক্ততা এবং কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান জানাই। প্রস্তাবটি ১৪ ভোটে নিশ্চিত করা হয়। তবে রাশিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবনাটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, এই কাউন্সিল আফগান জনগণের প্রতি জাতিসংঘের ক্রমাগত সমর্থনের পেছনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। কারণ দেশটি নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিশ্চিত করে, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের প্রচারের জন্য একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেট রয়েছে।

ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান

জাতিসংঘে নরওয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি মোনা জুল বলছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংলাপ, মানবাধিকারের ওপর নজরদারি এবং মৌলিক মানবিক প্রয়োজনে আফগানিস্তানে সহায়তা অব্যাহত রাখা দরকার। জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, এই মুহূর্তে ইউএনএএমএর ম্যান্ডেট নবায়ন আফগানিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা কাউন্সিল আফগানিস্তানে একটি শক্তিশালী জাতিসংঘ মিশনের সমর্থনে এক সুরে কথা বলেছে। জরুরি মানবিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়া, সমন্বয় করা, নারীসহ আফগান জনগণের সকল অধিকারকে সমর্থন করা এবং তালেবানকে তার প্রতিশ্রুতিতে জবাবদিহি করাই উদ্দেশ্য। তবে রাশিয়ার সমর্থন না জানানো হতাশাজনক। অথচ আগের চেয়ে বিষয়টি এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, আফগানিস্তানকে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করতে জাতিসংঘ মিশনটি একটি উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক নাসির আহমাদ হায়দারজাই বলেছেন, বর্তমান সরকার, আফগানিস্তান এবং বিশ্বের মধ্যে সংযোগকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে জাতিসংঘ মিশন।

জাতিসংঘ মিশনটি মূলত সাহায্য প্রদান এবং আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মূল্যায়নের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। বর্তমানে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ আফগানিস্তান একটি ভয়াবহ মানবিক সংকটের সাথে লড়াই করছে।