মামলা স্থানান্তরের বিরুদ্ধে খাশোগির বাগদত্তার আপিল

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা মামলা সৌদি আরবে স্থানান্তরের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন খাশোগির বাগদত্তা হ্যাটিস চেঙ্গিস। তিনি ইস্তাম্বুলের ১২তম হেভি পেনাল কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন, যা আদালতের রায় পর্যালোচনার অনুমোদন দেয়। বায়ানেট।

জামাল খাশোগি

খাশোগিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের রাজ্যের কনস্যুলেটে খুন করা হয়েছিল, যেখানে তিনি তার আসন্ন বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন। ২৬ আসামিসহ মামলায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ার পর ইস্তাম্বুল ১১তম হেভি পেনাল কোর্ট ৭ এপ্রিল মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের অনুমোদন দেয়।

খাশোগির আইনজীবী বলছেন, রায়টি আইন ও পদ্ধতির বিরুদ্ধে ছিল। মামলা হস্তান্তরের পক্ষে বিচার মন্ত্রণালয়ের মতামত রয়েছে। তবে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। বিচার স্থানান্তর করা কার্যত সম্ভব না বরং আসামিদের তুরস্কে স্থানান্তর করা দরকার ছিল। কারণ অপরাধ তুরস্কে সংঘটিত হয়েছে।

খাশোগি ও যুবরাজ সালমান

এটা স্পষ্ট যে সৌদি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোনো ন্যায়বিচার অনুষ্ঠিত হবে না। আইনজীবী বলেন, ইস্তাম্বুলের ১১তম উচ্চ ফৌজদারি আদালতের রায়ের দাবিতে বিচার থামাতে এবং মামলাটি সৌদি আরবে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।

সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ছিলেন। তিনি আল-ওয়াতানের সাবেক সম্পাদক ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক এবং আল-আরব নিউজ চ্যানেলের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। তাকে সৌদি এজেন্টদের দ্বারা হত্যা করা হয়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি সরকার খাশোগিকে তার আসন্ন বিয়ের কাগজপত্র দেওয়ার অজুহাতে কনস্যুলেট ভবনে ডেকে পাঠায়। এ সময় ১৫ সদস্যের সৌদি স্কোয়াড খাশোগিকে অতর্কিত ধরে ফেলে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে।

খাশোগির অন্তিম মুহূর্তগুলো অডিও রেকর্ডিংয়ে ধারণ করা হয়, যার প্রতিলিপি পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আনা হয়। তুর্কি তদন্তে বলা হয়, খাশোগি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তুর্কি তদন্তকারীরা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, খাশোগিকে হত্যাকারী দলের ১৫ সদস্যের মধ্যে কয়েকজন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে ঘনিষ্ঠ। দলটি বিশেষ কাজের কথা বলে ইস্তাম্বুলে ভ্রমণ করেছিল।