শিগগির কিয়েভে ফিরছেন মার্কিন কূটনীতিকরা, সঙ্গে নতুন সহায়তা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি কিয়েভে এক গোপন সফর করেছেন। সফরে তারা ইউক্রেনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষিত আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক অর্থায়ন অনুমোদনের বিষয়টি জানান দেন। তারা আরও জানান, কিয়েভে শিগগির মার্কিন কূটনীতিকরা ফিরতে শুরু করবে এবং নতুন রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দিয়ে কিয়েভে পাঠানো হবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন ও অন্যরা

সফরে ব্লিঙ্কেন ও লয়েড ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করেছেন। তারা জেলেনস্কিকে জানান, আরও ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের গোলাবারুদ বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আরও জানান, বাইডেন শিগগির ইউক্রেনে রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য তার মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন। রাশিয়ান হামলার আগে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া আমেরিকান কূটনীতিকরা আগামী সপ্তাহে দেশটিতে ফিরতে শুরু করবেন। কিয়েভে মার্কিন দূতাবাস আপাতত বন্ধ রয়েছে।

তেল আমদানিতে 'স্মার্ট নিষেধাজ্ঞা' ব্রাসেলসের: ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেল আমদানির বিরুদ্ধে ‘স্মার্ট নিষেধাজ্ঞা’ প্রস্তুত করছে। ইউরোপীয় কমিশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসকে উদ্ধৃত করে টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে দেশটির লাখ লাখ মানুষ শরণার্থী হয়েছেন

তিনি বলেন, আমরা একটি ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ নিয়ে কাজ করছি এবং আমরা যে বিষয়গুলো বিবেচনা করছি তা হল- তেল নিষেধাজ্ঞার ব্যাপার নিয়ে। যখন আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি, তখন আমাদের এমনভাবে করতে হবে যাতে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়তে পারে।

রাশিয়ায় তেলের ডিপোয় অগ্নিকাণ্ড: জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক শহরের একটি তেল ডিপোতে সোমবার ভোরে একটি বড় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ব্রায়ানস্ক মস্কো থেকে প্রায় ৩৮০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। শহরটি ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের প্রশাসনিক কেন্দ্র।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে। এখন রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধে রয়েছে। যুদ্ধ থামানোর চেষ্টায় জাতিসংঘ মহাসচিব মস্কো সফর শুরু করতে যাচ্ছেন। সফরে তিনি পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন। তবে যুদ্ধ সহজে থামবে কি না- তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।