ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করল সুইজারল্যান্ড

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ডেনমার্কের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে দুই ডজন সুইস সাঁজোয়া যান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিল ডেনমার্ক। কিন্তু আমরা সেই অনুরোধ রাখতে পারছি না। এ ধরনের অনুরোধ সুইজারল্যান্ডে সম্মানের সাথে দেখা হয় না। কারণ সুইস নিরপেক্ষতা আইনে যেকোনো দেশে যুদ্ধ সামগ্রী রপ্তানি নিষিদ্ধ। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউক্রেন, ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান

সুইজারল্যান্ডের এমন ঘোষণা চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে প্রমাণ করল। দেশটির আইনে সুইস-নির্মিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অস্ত্র সরঞ্জাম, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য যুদ্ধসামগ্রী অপর কোনো দেশে স্থানান্তর নিষেধ। এমনকি আন্তর্জাতিক সংঘাত চলার সময়ও।

ডেনমার্ক অনুরোধ করেছিল, সুইজারল্যান্ড যেনো ২২টি তিন চাকার পিরানহা সাঁজোয়া যান ইউক্রেনে পাঠায়। এর আগেও ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য এ ধরনের যান সংগ্রহ করে জার্মানির হাতে দিয়েছিল ডেনমার্ক। সে সময় গেপার্ড অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট বন্দুকের জন্য সুইস তৈরি ৩৫ মিমি গোলাবারুদ পাঠানোর একটি জার্মান অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছিল সুইজারল্যান্ড।

সেভেরোডোনেৎস্কে বিদেশি যোদ্ধা

ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধরত বিদেশি সেনারা চলতি সপ্তাহে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক প্রদেশের সেভেরোডোনেৎস্ক শহরে পৌঁছেছে। তারা রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিদেশি সেনারা এমন সময় এলো, যখন মস্কো পূর্ব ইউক্রেনের সর্বশেষ অঞ্চল দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে উভয়পক্ষই ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বলা হচ্ছে, যদি সেভেরোডোনেৎস্কের পতন হয়, তাহলে পাশের লিসিচানস্ক হবে শেষ শহর, যেটা দখল করলে লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণও পুরোপুরি রাশিয়ার হাতে চলে যাবে। উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে।