নতুন বিতর্কে নয়াদিল্লি: বিজেপির বিবৃতি বিতরণ করল দূতাবাস

মহানবীকে (সা.) নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসগুলোকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। কোথাও রাষ্ট্রদূতরা দেখা করে বিষয়টির সমাধান করতে চেয়েছেন, কোথাও বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে ওমানে যা হয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকার নয়, বিবৃতি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)! বিষয়টি নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে।

ওমানের ভারতীয় দূতাবাস

ওমানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে ই-মেইল করে যে বিবৃতি পাঠিয়েছে, তাতে লেখা রয়েছে, ভারতে সব ধর্মের মানুষ একসাথে মিলেমিশে থাকায় বিশ্বাসী। হাজার বছর ধরে ভারতে এই সংস্কৃতি চলে আসছে। বিজেপিও এই ধারাতেই বিশ্বাস করে। অন্য কোনো ধর্মকে অসম্মান করার রীতিতে তারা বিশ্বাস করে না।

বিবৃতিটি সরবরাহ করা হয়েছে বিজেপির দলীয় প্যাডে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সাধারণ সচিব অরুণ সিংহ।

বিষয়টি নজরে পড়তে ভারতীয়রাই সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। রেজিমন কুত্তাপান নামের একজন অনাবাসী ভারতীয় লেখক ওমানের গণমাধ্যমে পাঠানো ওই ই-মেইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানতে চেয়েছেন, একটি স্বাধীন দেশের দূতাবাস কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিবৃতিকে এভাবে ‘ভারতের বিবৃতি’ হিসেবে প্রচার করতে পারে?

টুইটারে রেজিমনের এই প্রশ্নকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস দলীয় এমনি শশী থারুরও। ওই টুইট উদ্ধৃত করে তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে কাছে জানতে চেয়েছেন, তাহলে কি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসক দলের মধ্যে আর কোনো পার্থক্য থাকছে না।

তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, মহানবীকে (সা.) নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে এতটাই মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, আরব দেশসহ বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ এর প্রতিবাদ জানায়। কোনো কোনো দেশ এরই মধ্যে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে নূপুর শর্মাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিজেপি। তবে এখনও বিতর্ক থামেনি। এরইমধ্যে ওমানে সরকারিভাবে দলীয় বিবৃতি প্রচার করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেওয়া হলো।