যুক্তরাষ্ট্রকে এক হাত নিলো চীন

ভারত ও চীনের মধ্যকার বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রের কাজকে ঘৃণ্য আখ্যা দিয়ে একে দুই প্রতিবেশীর বিরোধে উস্কানি হিসেবে দেখছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এসব মন্তব্য করেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান

গত বুধবার পূর্ব লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডিং জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনের করা একটি মন্তব্যের জেরে ঝাও এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন মন্তব্য দুই দেশের বিরোধে আগুনে জ্বালানি যোগ করার একটি প্রচেষ্টা। ফ্লিনের এমন মন্তব্যে দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ঝাও লিজিয়ান বলেন, বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে সীমানা নিয়ে তাদের মতপার্থক্য আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সঠিকভাবে সমাধান করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক কমান্ডিং জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন

গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন জেনারেলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কিছু মার্কিন কর্মকর্তা আগুনে জ্বালানি যোগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা আশা করি তারা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হবে। নয়াদিল্লি ও বেইজিং উভয় পক্ষেরই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার ইচ্ছা এবং ক্ষমতা রয়েছে।

দুই বছর আগে লাদাখের গালওয়ানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ২৪ বার বৈঠক হলেও কোনো অগ্রগতি আসেনি। তবুও এ অবস্থাকে স্থিতিশীল আখ্যা দিয়ে ঝাও বলেন, এখন পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল হচ্ছে। উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে কোনো সংঘাতের সূচনা হয়নি।

এর আগে বুধবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ফ্লিন বলেছিলেন, সীমান্তে চীনের বেশ কিছু কার্যকলাপ উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। লাদাখ সীমান্তে তাদের তৈরি করা বেশকিছু অবকাঠামো উদ্বেগজনক।

চীনাদের এমন হটকারী আচরণের প্রতিবাদের নয়াদিল্লির সাথে আমাদের একসাথে কাজ করা দরকার বলে উল্লেখ করেন ফ্লিন।