গ্যাস ফিল্ড নিয়ে মুখোমুখি হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল

ভূমধ্যসাগরে ইসরায়েলের কারিশ গ্যাস ফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। হামলার হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, গ্যাস রিগ (গ্যাস উত্তোলন যন্ত্র) যে এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে, সেই এলাকাটি বিতর্কিত সামুদ্রিক এলাকা। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সমাধান না হলে ইসরায়েল গ্যাস উত্তোলন করতে পারবে না। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

কারিশ গ্যাস ফিল্ড

হাসান নাসরাল্লাহ গতকাল বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিন্দা করেছেন। বিতর্কিত সামুদ্রিক এলাকায় ইসরায়েলি গ্যাস রিগ স্থাপনকে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার জন্য উস্কানি হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি।

গত সপ্তাহে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন জানিয়েছিলেন, সামুদ্রিক সীমান্ত নিয়ে আলোচনা এখনও শেষ হয়নি। তার এ বক্তব্যের পর হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ যে কোনো স্থানে ইসরায়েলের পদক্ষেপ সম্পূর্ণ বিতর্কিত বলে বিবেচিত হবে। এরপরও ইসরায়েল যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় তা হবে উসকানি ও শত্রুতামূলক কাজ।

হাসান নাসরাল্লাহ

বিতর্কিত সামুদ্রিক এলাকাটি নিয়ে ইসরায়েল-লেবানন এর আগে আলোচনা করেছে। মধ্যস্থতা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নাসরুল্লাহ বলছেন, ইসরায়েলের উচিত আলোচনার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা এবং চুক্তির আগে গ্যাস উত্তোলন করলে তা লেবাননের ওপর সরাসরি হামলা বলে বিবেচিত হবে।

হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, সমস্ত বিকল্প আলোচনার টেবিলে রয়েছে। আলোচনা ছাড়াই যদি ইসরায়েল গ্যাস উত্তোলনের চিন্তা করে, তাহলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও গ্যাস রিগটি রক্ষা করতে পারবে না।

চলতি সপ্তাহে জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদন কোম্পানি এনার্জিয়ানের একটি জাহাজ কারিশ গ্যাস ক্ষেত্রে পৌঁছেছে। কোম্পানিটি লন্ডন ও তেল আবিবের তালিকাভুক্ত। হিজবুল্লাহ এই গ্যাস ফিল্ড নিয়ে শুরু থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

লেবানের প্রেসিডেন্ট আউন ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী মার্কিন দূতকে বৈরুতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা আমোস হোচস্টেইন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৈরুতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।