রিজার্ভ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তালেবান!

স্থগিত করা রিজার্ভ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র্রের সঙ্গে আলোচনায় বসছে তালেবান। ইতোমধ্যে কাতারে তালেবান প্রতিনিধি দল পৌঁছে গেছে। আফগানিস্তান বিধ্বংসী এক ভূমিকম্পের আঘাতে জর্জরিত। এই সংকটে তালেবান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্থগিত করা রিজার্ভ ছাড় করতে অনুরোধ করেছে। এতে সাড়া দিয়েই কাতারে আলোচনায় বসছে দুপক্ষ। জানা যাচ্ছে, ওয়াশিংটনও অর্থ ছাড়ের উপায় খুঁজছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রিজার্ভ ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তালেবান

হোয়াইট হাউস বুধবার জানায়, অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে জরুরি প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের একজন সদস্য বলছেন, বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সময় লেগে যেতে পারে।

তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি আফগানিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ওয়েস্টের সাথে আলোচনা করবেন। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিনি কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর ওয়াশিংটন দেশটির ৭ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ স্থগিত করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ সাহায্য বন্ধ করে দেয়। এতে আফগানিস্তানের চার কোটি জনগণ বিপদে পড়ে যায়।

মার্কিন ডলারের বিপরীতে আফগানিস্তানের মুদ্রার পতন হয়েছে এবং দেশটি একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত হয়।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট নিশ্চিত করেছে, আফগানিস্তানের মার্কিন দূত টম ওয়েস্ট আলোচনায় অংশ নেবেন। মার্কিন স্টেটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই আলোচনার অর্থ এই নয় যে, তালেবান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিতে চায়। বরং মার্কিন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তালেবানের সাথে আলোচনা চালিয়ে নেওয়া দরকার।

জরুরিভিত্তিতে তহবিল প্রয়োজন

পূর্ব আফগানিস্তানে গত সপ্তাহে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সহস্রাধিক লোক নিহত হয়। কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য শাহ মেহরাবি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা আলোচনার মাধ্যমে রিজার্ভ ফেরানোর উপায় চূড়ান্ত হবে। একটু সময় লাগবে। এসব রাতারাতি হয় না।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে গত সপ্তাহে বলেন, আমরা জরুরিভাবে এই তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে জটিল প্রশ্নের সমাধান করার জন্য কাজ করছি, যাতে ওয়াশিংটন আফগানিস্তানের জনগণের উপকারে আসে।