কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছেছে তুরস্ক এবং কাতার। তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানে কাবুল বিমানবন্দরের বহুল ব্যবহার করে থাকে। বিমানবন্দরটি দেশটির প্রাণ হিসেবে কাজ করে। আরিয়ানা নিউজ।
কাবুল বিমানবন্দর
কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি প্রধান আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সংযোগ। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এর পর থেকে তুরস্ক বলে আসছে, কাতারের সাথে যুক্ত হয়ে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে চায় তারা। তারা শুধু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে চায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতও বিমানবন্দরটি চালু রাখতে তালেবানদের সাথে আলোচনা করেছে। আঙ্কারা এবং দোহা কাবুল বিমানবন্দর মিশনের জন্য একটি নিরাপত্তা কাঠামোতে সম্মত হয়েছে। তবে অর্থায়নের মতো অন্যান্য দিক নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
গত আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান
সূত্রটি জানাচ্ছে, তালেবান বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ভেতরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কাতার ও তুরস্ক। প্রক্রিয়াটি গঠনমূলকভাবে অব্যাহত রয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হচ্ছে, তুর্কি ও কাতারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল এই সপ্তাহে কাবুলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিমানবন্দরের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাতার ও তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা শেষ করতে আগামী সপ্তাহে তালেবান সরকারের প্রতিনিধি দল দোহায় থাকবে। কাতার এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই সপ্তাহে কাবুলে দুই দিনে গভীর আলোচনা করেছে।
কাতার গত আগস্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ঘোষণার পর আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। এরপর তুরস্কের সাথে কাবুল বিমানবন্দর চালাতে সহায়তা করেছিল। এখন আঙ্কারা, দোহা এবং আফগান সরকার সম্মত হয়েছে, তারা আগামী সপ্তাহের মধ্যে আলোচনা শেষ করে ফেলবে।
কাবুল বিমানবন্দরে গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে দোহা এবং কাবুলের মধ্যে ফ্লাইট চালু হয়। আফগানিস্তান সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে এখন কাতারকে কাজে লাগাচ্ছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং আরও কয়েকটি দেশ কাবুল দূতাবাস সরিয়ে নিয়েছে।
বুধবার, ১৯ জানুয়ারি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যপে এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক আফগানিস্তানে ৭০০ টন জরুরি সাহায্য ও সরবরাহ পাঠাচ্ছে।