প্রচণ্ড তাপদাহ, চীনের ৮৪ শহরে রেড অ্যালার্ট

চীনে একদিকে কিছু অঞ্চলের মানুষ বন্যায় ভাসছে, অন্যদিকে কিছু অঞ্চল পুড়ছে প্রচণ্ড তাপদাহে। তাপপ্রবাহ এতটাই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেকে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে রাস্তাঘাটে ফোয়ারার পানিতে জুড়িয়ে নিচ্ছেন শরীর। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ৮৪ শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর সিএনএন।

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে চীনের কিছু অঞ্চল

চীনের জাতীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। রেড অ্যালার্ট হচ্ছে সতর্কতার সর্বোচ্চ স্তর।

এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সাংহাই প্রদেশ থেকে পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল জিয়াংশু প্রদেশ পর্যন্ত। ঝেজিয়াং, সিচুয়ান ও ইউনান প্রদেশে আজ বুধবারই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানায় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।

চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই তাপপ্রবাহ বেড়েছে। সাংহাই অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রথমে রেড অ্যালার্টের আওতায় পড়ে। ১৮৭৩ সাল থেকে সাংহাই অঞ্চলের তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, এবারই প্রথম টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপর বিরাজ করছে সেখানে।

এদিকে, প্রচণ্ড তাপামাত্রার কারণে মানুষ বাইরে চলাফেরা অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে রাস্তাঘাটে আইসক্রিম, তরমুজ, জুস ও চিংড়ি মাছের ঠাণ্ডা স্যুপজাতীয় খাবারের বিক্রি বেড়েছে।

নিজেদের ঠাণ্ডা রাখতে নানান উপায় খুঁজছে মানুষ। শানডং প্রদেশের কিংডাও সমুদ্র সৈকতে গত দুদিন থেকেই মানুষের ভিড় বেড়েছে। গুয়াংজি প্রদেশের ন্যানিং শহরে শিশুকিশোরদের দেখা গেছে রাস্তার ফোয়ারার পানিতে খেলাধুলা করতে। সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে জিয়াংশুর নানজিংয়ে। সেখানে যুদ্ধকালীন বিমান হামলা থেকে বাঁচার জন্য বানানো ব্যাংকারে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ।

একদিকে যখন তাপদাহে রেড অ্যালার্ট চলছে, অন্যদিকে গুয়াংডং অঞ্চলে বন্যাকবলিত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। এক লাখ ৭৭ হাজার মানুষকে বাড়িঘর থেকেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।