ইরানি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে ইউক্রেন

রাশিয়ার কাছে ইরানের কথিত ড্রোন প্রযুক্তি রপ্তানির প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন ইরানি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরু করেছে। মিডল ইস্ট আই (এমইই) এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইরানি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে ইউক্রেন

ইরানি শিক্ষার্থীরা এমইই কে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের অভিবাসন কর্মকর্তারা ছাত্রদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইরানি একজন শিক্ষার্থী জানান, অভিবাসন কর্মকর্তা তাদের সাথে খুব রাগান্বিত আচরণ করেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আপনার দেশ রাশিয়ানদের প্রশিক্ষণের জন্য ড্রোন এবং সামরিক অফিসারদের পাঠায়। এই কারণে আপনাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে না।'

ইরানি সরকারের কার্যকলাপের দায় শিক্ষার্থীদেরও ভোগ করতে হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ইরানি শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ইউক্রেনের অভিবাসন কর্মকর্তারা তাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে।

আহমদ নামে একজন মেডিকেল ছাত্র যিনি এখন ইরানে আছেন তিনি বলেন, ‘আমাকেও ১০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা আমাকে বলেছিল, 'আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে'।' 

আহমদ আরও দাবি করেছেন যে বেশ কয়েকজন ইরানি ছাত্রকে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এমনকি ইরানি ছাত্ররা নিজ দেশ থেকে অনলাইনে ক্লাস করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পর, তারা বলেছিল, 'এটা সম্ভব নয়, কারণ অভিবাসন বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের বলেছে যে আপনাদেরকে অবশ্যই বহিষ্কার করতে হবে।'

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকেই ইরান রাশিয়ার পক্ষেই ছিল। আগস্টের শেষে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে মধ্যস্থতা করার লক্ষ্যে রাশিয়া সফর করেন।

এদিকে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান রাশিয়ার কাছে আত্মঘাতী ড্রোন বিক্রি করেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের উদ্ধৃত করে বলে যে রাশিয়া ইরানী আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনীয় বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। এরপর ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে ইরান রাশিয়ার কাছে আত্মঘাতী ড্রোন বিক্রি করেছে। যদিও এখন পর্যন্ত তেহরান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।