জি-৭ নেতাদের যা বললেন জেলেনস্কি 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘পুতিন এখনও ইউক্রেনের নতুন অঞ্চল দখলের মনোভাব পুষে রেখেছেন। কারণ রাশিয়ার আচরণে তাই প্রমাণিত হয়েছে।’ সোমবার ও মঙ্গলবার কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ান ১১২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়ার পর জেলেনস্কি জি-৭ নেতাদের একথা জানিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

পুতিনের নাম উল্লেখ না করে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান নেতা তার দখলদারিত্বের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলেও খায়েশ মেটেনি। তিনি আরও অঞ্চল দখল করতে চান। তার এই মনোভাব বিশ্বের সবার জন্য হুমকি।’ জি-৭ নেতাদের প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

জি-৭ নেতাদের তিনি আহ্বান জানান, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিস্টেমের প্রয়োজন ইউক্রেনের। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলো যেন ইউক্রেনকে তহবিল গঠনে সহায়তা করে। রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি বিশ্বনেতাদের প্রতি এই আহ্বান জানালেন। এর আগে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে কথা বলার সময় একই দাবি করেন।

বিশ্বনেতাদের প্রতি জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রচুর অর্থ দরকার। এই সহায়তা পেলে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে।’

জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া মিসাইলের বৃষ্টি ঝরিয়েছে। গত সোমবার কমপক্ষে ৮৪টি রাশিয়ান মিসাইল ইউক্রেনে আঘাত হেনেছে। দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবারও রাশিয়ান ২৮টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলে পড়ে ইউক্রেনের ওপর। পাশাপাশি ড্রোন হামলা তো রয়েছেই।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বেলারুশের পদক্ষেপের ব্যাপারেও জি-৭ নেতাদের জানান। তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধের পক্ষে তার মিত্র খুঁজছে। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক তদারকি বাড়ানোরও অনুরোধ করেন জেলেনস্কি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। ইতোমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এই চার অঞ্চল দখল করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন অঞ্চলগুলোতে গণভোট দিয়েছেন। পুতিনের দাবি, এই গণভোটে অঞ্চলগুলোর মানুষ রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে রায় দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ রাশিয়ার আয়োজিত ওই গণভোট প্রত্যাখ্যান করেছে।