বাংলাদেশে থাকা ৫০০ বা ১০০০ রুপির নোটও অচল

সম্প্রতি ভারত সরকার তাদের দেশে ৫০০ ও ১০০০ রুপি মূল্যমানের নোট বাতিল করেছে। ভারত প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অনেকের কাছে রয়েছে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট। বাংলাদেশের কারো কাছে এই নোটগুলো থাকলে এখন সেগুলো হয়ে পড়েছে মূল্যহীন।

বাংলাদেশ ব‌্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেছেন, 'বাংলাদেশে কারো কাছে ভারতীয় ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট থাকলে সেটা 'অবৈধ অর্থ' হিসেবেই দেখা হবে।' তবে ভারতীয়রা তাদের দেশে এই নোটগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার আগে বদলিয়ে নেয়ার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশিরা সেই সুযোগ পাননি।

গত মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাল নোট এবং কালো রুপির বিস্তার রোধে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় বলা হয়, আজ ১১ নভেম্বর তারিখের পর পর্যটকেরা দেশটির যে কোনো ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে রুপি পরিবর্তন করতে পারবেন। আর আগামী মাসের ৩০ তারিখের পর শুধুমাত্র রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাতিল হ্ওয়া এই নোটগুলো নিতে পারবে।

অনেকে ভারত যাতায়াতে সরাসরি রুপি কহন করেন। অাবার দুই দেশের সীমান্ত হাটেও সরাসরি বাংলাদেশ এবং ভারতের নোট লেনদেন হয়। ফলে অনেকের কাছেই নোটগুলো আছে। শুভঙ্কর সাহা জানান, 'পাসপোর্টে যেহেতু রুপি এনডোর্স করা হয় না। কাজেই কার কাছে কতো রুপি আছে সেটার কোন রেকর্ড নেই। যাতায়াত পথে বিমানবন্দরসহ বাংলাদেশের ভেতরে রুপি পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই।'

ভারতে রুপি বাতিলের পর মানি এক্সচেঞ্জগুলোও বন্ধ রেখেছে রুপির কেনাবেচা। বাতিল হওয়ার খবর প্রকাশের পর অনেকেই বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় নোট নিয়ে ব্যাংক, মানি চেঞ্জার ও খোলাবাজারে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু কোন লাভে আসেনি। ফলে ৫০০ এবং ১০০০ রুপির ভারতীয় নোট নিয়ে অনেকেই বিপাকে পরেছেন।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ৪টি ব্যাংকে ৫০০ ও ১ হাজার মূল্যমানের ১১ লাখ রুপি রয়েছে। এ বিষয়ে শুভঙ্কর সাহা বলেন, 'বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।'

আপনি আরো পড়তে পারেন

ডিএমপি কমিশনারের দেখা পেল না বিএনপি

ইউনেস্কোর জুরিবোর্ডের সভাপতি হলেন সায়মা ওয়াজেদ

২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন

৫৪ ও ১৬৭ ধারা নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া