ইসলায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রত্যাশা জোরদার

গত সপ্তাহে আলজেরিয়ার মধ্যস্থতায় এক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের রাজনৈতিক দল ফাতাহ। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণকে ‘সঠিক নির্বাচন’ উপহার দেওয়া এবং ইসরায়েলের সাথে আলোচনার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু এক্যফ্রন্ট কী ইসরায়েল বিরোধিতায় যুতসই ভূমিকা রাখতে পারবে? টিআরটি ওয়ার্ল্ড তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে।

আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আবদুল মজিদ তেবোউনের মধ্যস্থতায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং ফাতাহ নেতা আজাম আল আহমাদ কয়েক মাস আলোচনার পর এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

খবরে বলা হচ্ছে, হামাস-ফাতাহর মধ্যে ১৫ বছরের বিভাজন মেটানোর লক্ষ্যে ওই চুক্তি সম্পাদিত হয়। তবে ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে চুক্তির ব্যাপারে আশা-সংশয় উভয়ই রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারের ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ফাতাহ নেতা আজাম আল আহমাদ, হামাসের রাজনেতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিনের নেতা তালাল নাজি।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড আবাবির সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, আলজিয়ার্স ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গঠিত ঐক্যে অবদান রাখবে। দখলদারিত্ব প্রতিহত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিলিস্তিনি প্রশাসন গঠন ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।

আলজিয়ার্সের ঘোষণার পর তুরস্কও উচ্ছাস প্রকাশ করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘোষণাপত্রের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা আশা করি। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে দুক্ষের মধ্যে যে সংকট রয়েছে, তার সমাধান হওয়া জরুরি।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি ক্যাম্পেইনের চেয়ার এবং ব্রিটিশ-প্যালেস্টাইন পলিসি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কামেল হাওয়াশ টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, নতুন চুক্তি দুই পক্ষের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারে। চুক্তি বাস্তবায়নে একটি ফলোআপ কমিটিও গঠন করবে আলজেরিয়া।

চুক্তির অধীনে প্রেসিডেন্ট পদ ও ফিলিস্তিন আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। হাওয়াশ বলেন, ঐক্য শক্তিশালী করতে ফিলিস্তিন ন্যাশনাল কাউন্সিলের (পিএনসি) অধীনে সব নির্বাচন হওয়া দরকার, যা তাদের জন্য জাতীয় সংসদ গঠন করতে পারে। আগামী ৫ নভেম্বর গাজা ও রামাল্লায় যে ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা উচিত।

দুপক্ষের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ১৪ মিলিয়ন বা এক কোটি ৪০ লাখ ফিলিস্তিনির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য হাওয়াশ বলেন, পিএনসি ফিলিস্তিনি জনগণের শীর্ষ সংস্থা হওয়া উচিত। এর অধীনে অন্যান্য ছোট সংস্থাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কারণ পিএনসি একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংস্থা।