ইউক্রেনে ইরানি ড্রেন: নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ইরানের ‘কামিকাজে’ ড্রোন ব্যবহার হওয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন সকর্ত করেছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির সাথে কাজ করা দেশ ও কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইরান ও মিত্রদের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

গতকাল সোমবার কিয়েভে সর্বশেষ যে হামলা হয়েছে, তাতে ইরানের তৈরি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এই হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। হামলার পরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা হুমকি দেয় এবং ১৫ ইরানির সম্পদ জব্দ করে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ইরান-রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র বিতরণে যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে ইরানের ড্রোন কর্মসূচি কিংবা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আমরা কার্পণ্য করব না। ইরানের সাথে রাশিয়ার মৈত্রী গভীর করার বিষয়টি পুরো বিশ্বে, বিশেষ করে এই অঞ্চলের জন্য বড় হুমকি।

এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়তার জন্য মিত্র দেশগুলোর প্রতি আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একইসাথে তিনি কিয়েভে ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

জাতির উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, আমাদের আকাশে সুরক্ষার গ্যারান্টি দিতে এবং রাশিয়ান হামলা প্রতিহত করতে আরও উন্নত মানের ও বেশি সংখ্যক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র দরকার। এটি কেবল ইউক্রেনের স্বার্থে নয়, রাশিয়াকে যত ঠেকানো যাবে ততই যুদ্ধ আগে শেষ হবে।

জেলেনস্কি তার সেনাদের আরও বেশি সংখ্যক রুশ সেনাকে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দাবি, যত বেশি রুশ সেনা আটক করা যাবে, ততই বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করা সহজ হবে। ওই ভাষণে তিনি বলেন, যারা রুশ সেনা আটকে সাফল্য দেখিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা আমাদের বিনিময় তহবিল পুনরায় পূরণ করতে সহায়তা করছে এবং শত্রুদের বন্দি করতে সফল হচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, আমাদের যত বেশি রুশ বন্দি থাকবে, তত তাড়াতাড়ি আমরা আমাদের বীরকে মুক্ত করতে সক্ষম হব। প্রতিটি ইউক্রেনীয় কমান্ডার এবং সৈনিককে বিষয়টি মনে রাখা উচিত।