ইরানি ড্রোন নিয়ে তদন্ত: রাশিয়া-পশ্চিমা টানাপোড়েন

সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর-গ্রামে ব্যাপক সংখ্যায় ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এই ড্রোন ইরানের তৈরি ‘কামিকাজে’ ড্রোন বলে প্রচার করা হয়। তবে ড্রোনগুলো কামিকাজে ড্রোন কিনা তা এখনও প্রমাণিত নয়। প্রমাণ করার তদন্ত নিয়ে রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলোর মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ড্রোন, ফাইল ছবি

খবরে বলা হচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে ড্রোন হামলা করে ২০১৫ সালে তৈরি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে হামলা করার জন্যও তারা রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে ড্রোনের উৎস অনুুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত দল পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছে। ইউক্রেনের আহ্বানে দলটি ড্রোন হামলার তদন্ত করবে।

তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া দাবি করেন, ড্রোনগুলো রাশিয়ার তৈরি। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন এ নিয়ে কোনো তদন্ত হলে তা জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘিত হবে এবং রাশিয়া-জাতিসংঘ সম্পর্ক মারাত্মক খারাপ পর্যায়ে যাবে।

এর আগে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো ইরানের ড্রোন নয় বলে জানায় রাশিয়া। ইরানও ইউক্রেন সরকারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণের আহ্বান জানায়। রাশিয়া কিংবা ইরান স্বীকার না করায় বিষয়টি জাতিসংঘ পর্যন্ত গড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দেয়।

খেরসনে কয়েক ডজন শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধার

রুশ দখলীয় খেরসনের কয়েক ডজন গ্রাম ও শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন। প্রায় ৪৪টি শহর ও গ্রাম দখলমুক্ত করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের উপপ্রধান কিরিলো টিমোশেঙ্গো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, আমরা পুনরুদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার অঙ্গীকার পূরণে কিয়েভ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

অপরদিকে রাশিয়ান কর্মকর্তারা খেরসনের প্রধান শহরে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তারা শহরটিকে দুর্গে পরিণত করেছে বলে খবরে বলা হচ্ছে।