আইএসের ছয়জনকে হত্যার দাবি তালেবানের

আইএসের সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছয় সদস্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তালেবান বাহিনী। তালেবানের অভিযোগ, তারা আফগানিস্তানের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় জড়িত, যাতে কয়েক ডজন নারী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল। শনিবার একজন তালেবান কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

আফগানিস্তানের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলায় কয়েক ডজন নারী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল

গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয় কাবুলের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে। শ্রেণিকক্ষে শত শত শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছিল। কেন্দ্রটিতে মধ্যে বহু নারী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এসময় এক নারী আত্মঘাতী হামলা চালায়। এতে ৪৬ জন মেয়ে ও তরুণীসহ অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছিল।

তবে কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দ্বায় এখনও স্বীকার করেনি। তবে আজ শনিবার তালেবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেটি আইএসের আত্মঘাতী হামলা ছিল। সমসাময়িক আরও কয়েকটি হামলার সাথে আইএস জড়িত বলে তালেবান কর্তৃপক্ষের দাবি।

আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান বাহিনী গত শুক্রবার রাতে কাবুলে একটি অভিযান চালায়। এসময় ছয় আইএস সদস্যকে হত্যা করে তারা। পাশাপাশি দুজনকে আটক করা হয়।

এক টুইটার বার্তায় মুজাহিদ বলেন, নিহত আইএস সদস্যরা সবাই অপরাধী। তারা ওয়াজির আকবর খান মসজিদ, কাজ শিক্ষাকেন্দ্রে বিস্ফোরণসহ আরও কিছু হামলায় বেসামরিক লোকদের হত্যা করে। তাদের হামলায় সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর কাবুলের সুরক্ষিত সাবেক গ্রিন জোনের কাছে ওয়াজির আকবর খান মসজিদের সামনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। গত বছরের আগস্ট মাসে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের আগে এই এলাকায় বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস ছিল।

আফগানিস্তানে বর্তমানে তালেবানদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠী আইএস। তালেবানের আফগান পুনর্গঠন কার্যক্রমে বাধা এবং গোষ্ঠগত দ্বন্দ্বে আইএস সদস্যরা হস্তক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন জনাকীর্ণ স্থানে হামলা চালায়। তবে এখন তাদের দৌরাত্ম্য আগের চেয়ে কমে গেছে।