খেরসন ছাড়তে চাচ্ছে না কোনো পক্ষই, তীব্র যুদ্ধ আসন্ন!

ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশ দখল করে রুশ ফেডারেশনের সাথে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু খেরসন সহজেই ছেড়ে দিতে নারাজ ইউক্রেন। তারা খেরসনে বারবার পুনরুদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে পুতিন বাহিনীও খেরসন রক্ষায় মরিয়া হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

খেরসন ছাড়তে চাচ্ছে না কোনো পক্ষই, তীব্র যুদ্ধ আসন্ন!

ইউক্রেনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কৌশলগতভাবে রুশ অধিকৃত দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন প্রদেশে সবচেয়ে ভারী যুদ্ধ আসতে চলেছে। অন্য দিকে মস্কোর সামরিক বাহিনীও ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রুখতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনস্তির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস টোভিচ বলেছেন, খেরসনের ব্যাপারে সবকিছু পরিষ্কার। রাশিয়ানরা সেখানে সামরিক শক্তি আবারও বাড়িয়েছে। তারা খেরসন রক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত।

ওই কর্মকর্তার মতে, এর মানে হলো, খেরসনের দাবি কোনো পক্ষই ত্যাগ করতে রাজি নয়। এজন্য সেখানে একটা ভারী যুদ্ধ হবে। তবে যুদ্ধ কখন শুরু হবে তা স্পষ্ট করেনি তিনি।

ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারেই সত্যিকারের শান্তি

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি মনে করেন, ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার করলেই সত্যিকারের শান্তি আসবে।

ইউক্রেনের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া অবৈধভাবে দখলে নেয় ক্রিমিয়া। জেলেনস্কি মনে করেন, ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের স্বাধীন পতাকা উড্ডয়ন হলেই কেবল প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন।

ক্রোয়েশিয়া জাগরেবে আন্তর্জাকি ক্রিমিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রথম সংসদীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের পতাকা ক্রিমিয়ায় ফিরে আসবে। একদিন ক্রিমিয়ার শহর ও গ্রামে রাশিয়ার আগ্রাসন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।

রাশিয়ান বাহিনীর কী লাগবে জানতে চান পুতিন

প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ান বাহিনীর কী কী প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ ও এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেখতে চান তিনি।

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদার বিষয়ে সরকারি সমন্বয় পরিষদের প্রথম বৈঠকে ওই নির্দেশনা দিয়ে পুতিন বলেন, এই প্রচেষ্টার মধ্যে শুধু বস্তুগত সরঞ্জাম নয়, সামাজিক চাহিদাও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। তিনি সেনাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের দেখভালের বিষয়েও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।

পুতিন চান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আঁচ যেন সেনাবাহিনীতে না লাগে। এজন্য দ্রুত সেনাবাহিনীর চাহিদা পূরণে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।