ফিলিস্তিনি অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী সাজাচ্ছে ইসরায়েল!

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ক্র্যাকডাউন একপ্রকার মৃত্যুর মতো অবরুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করছে। বেশ কয়েকটি ফিলিস্তিনি অধিকার গোষ্ঠী এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, সন্ত্রাস দমনের নামে ইসরায়েল তাদের কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তারা জাতিসংঘের প্রতি এই অন্যায়-অবিচার রোধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ফিলিস্তিনি অধিকার গোষ্ঠীগুলোকে সন্ত্রাসী সাজাচ্ছে ইসরায়েল!

খবরে বলা হচ্ছে, গতবছর সাতটি ফিলিস্তিনি সুশীল সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি এসব সংগঠনের কার্যালয় বন্ধের আদেশ দেয় এবং অভিযান চালায়। এতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দেয়।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে এই গণশুনানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি বর্বরতার অনুসন্ধান চালাবে জাতিসংঘ দলটি। এই ধরনের পাবলিক শুনানি আগে মাত্র দুইবার হয়েছে। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে করা শুনানিগুলোর একটি ছিল ফিলিস্তিনে ও অপরটি উত্তর কোরিয়ায়। দুই স্থানেই জনঅধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল।

নতুন গণশুনানিতে নিহত সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের হত্যার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। গত মে মাসে তাকে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, শিরিন মূলত ইসরায়েলি বাহিনীর ছোড়া গুলিতেই নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক প্রধান দক্ষিণ আফ্রিকার নাভি পিলে জানান, গণশুনানির মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না, বা কারও বিচার করছি না।

যেসব সংগঠনকে ইসরায়েলে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের অফিসে ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে, এরকম তিনটি সংগঠন প্রথম দিনের শুনানিতে অংশ নেয়। তাদের দাবি, ইসরায়েল তাদের ব্যাপারে গোপন তদন্ত পরিচালনা করছে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদেরকে সন্ত্রাসী বানাচ্ছে। এসব সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত তার কোনো প্রমাণ মেলেনি।

মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘আল হক’ পরিচালনা করেন শাওয়ান জাবারিন। তিনি বলেন, এরকম মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এসব সংগঠন কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত নয়। অথচ ইসরায়ের এদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের অনেককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

জাবারিন বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে তার সংস্থাটি সন্ত্রাসী উপাধি পেয়েছিল। এটি মৃত্যুদণ্ডের শামিল। এর মাধ্যমে সংস্থাটিতে হত্যা করা হচ্ছে। কারণ ইসরায়েল চায়, তারা যে অধিকার লঙ্ঘন করছে, তা নিয়ে যেন কেউ কথা না বলে। তবে জাবারিন এক লাইভে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা থামব না’।