আপনি পড়ছেন

ইউক্রেনে অস্ত্রের জোগান অব্যাহত রাখতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাইওয়ানের কাছে বিক্রিত ১৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র যথাসময়ে সরবরাহ করতে পারেনি। তাইওয়ানের প্রতি চীনের অব্যাহত হুমকির মুখে সেখানে অস্ত্র সরবরাহ বিলম্বিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জো বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। সরবরাহে বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারাও। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

us javelin antitank২০১৫ সালে জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাঙ্ক সিস্টেম সরবরাহের আদেশ দিয়ে এখনো তা বুঝে পায়নি তাইওয়ান

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুন লি-ফাং গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অস্ত্র বিক্রি কার্যক্রমের প্রক্রিয়া সম্পর্কে যে প্রশ্ন উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলতে পারি যে, অস্ত্র বিক্রি ও সরবরাহে বিলম্ব মোকাবেলায় এবং এ থেকে উদ্ভূত ক্ষতি প্রশমনে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি কার্যক্রম মেকানিজম রয়েছে। ‘ইউএস এফোর্ট টু আর্ম তাইওয়ান ফেসেস নিউ চ্যালেঞ্জ উইথ ইউক্রেন কনফ্লিক্ট’ শিরোনামে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের জবাবে তিনি উপরের কথাগুলো বলেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল শুরুর পর থেকে কিয়েভের অনুরোধ অনুযায়ী অস্ত্র পাঠাতে গিয়ে মার্কিন সরকার ও প্রতিরক্ষা শিল্পখাত হিমশিম খাচ্ছে। মূল চীনের সম্ভাব্য হামলা থেকে আত্মরক্ষায় তাইওয়ানকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের যে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রয়েছে, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে।

এতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রকে ২০৮ পিস জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাঙ্ক সিস্টেম সরবরাহ-আদেশ দেয়। ওই অস্ত্র এখনো তাইওয়ানে পৌঁছেনি। এরকম আরও কয়েকটি অর্ডারের বিপরীতে সরবরাহ বাকি রয়েছে। গত ডিসেম্বর নাগাদ তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠানো বাকি ছিল। চলতি বছরের আরও কয়েকটি সরবরাহ-আদেশ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিলম্বিত সরবরাহের মোট আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে যুদ্ধের রসদ জোগাতে গিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পখাত এরইমধ্যে চাপের মুখে রয়েছে। ইউক্রেনে সংঘাত অব্যাহত থাকায় তাইওয়ানে অস্ত্র সরবরাহ আরও বিলম্বিত হতে পারে। ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প-কারখানাগুলো উৎপাদন সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ সীমা কাজে লাগাচ্ছে।

ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, ইউক্রেনে অব্যাহত সরবরাহের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ন্যাটো জোটের কয়েকটি দেশেও গোলাবারুদের মজুত তলানিতে ঠেকতে চলেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনী অতিরিক্ত গোলাবারুদ ব্যবহার করছে এ মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েকটি মিত্র দেশ। রোমানিয়ায় ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের চলমান বৈঠকের আগে-পরে বিভিন্ন মন্তব্যে এ উদ্বেগের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, পেন্টাগন এ মর্মে যথেষ্ট উদ্বেগ বোধ করছে যে ইউক্রেনীয়রা, বিশেষত বাখমুতের মতো জায়গায় ঢালাওভাবে গোলাবর্ষণ করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ অফুরান এমন ভুল ধারণায় ভুগছে তারা।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.