ন্যাটোতে যোগদান: তুরস্কের দাবি পূরণ করতে পারবে না সুইডেন

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, সুইডেন আত্মবিশ্বাসী যে- তুরস্ক ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের জন্য তাদের আবেদন অনুমোদন করবে। তবে আঙ্কারা তার সমর্থনের জন্য যেসব শর্ত নির্ধারণ করেছে তা পূরণ করতে পারবে না সুইডেন। রোববার একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। আল জাজিরার খবর।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন

সুইডিস প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক এমন কিছু চায় যার সবই আমরা পূরণ করতে পারব না। আবার আমরা যা করেছি তাতে সন্তুষ্ট না আঙ্কারা। আমরা মনে করি তুরস্ক আমাদের ব্যাপারটি বুঝবে।

ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ২০২২ সালে তুরস্কের সাথে একটি ত্রিমুখী চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার উদ্দেশ্য ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারার আপত্তি কাটিয়ে ওঠা।

গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুই নর্ডিক দেশ মে মাসে সামরিক জোটে যোগদানের আবেদন করে। কিন্তু তুরস্ক তাদের সদস্যপদ নিয়ে তাদের আপত্তি তুলে এবং দেশ দুটির বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনে।

তুরস্ক দেশ দুটির সদস্যপদ অনুমোদন করতে অস্বীকার করেছে, যতক্ষণ না উভয় দেশ আঙ্কারার শর্ত না মেনে নেয়। তুরস্ক চায়, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে লুকিয়ে থাকা বা আশ্রয় পাওয়া পিকেকে সন্ত্রাসীদের আঙ্কারার কাছে প্রত্যর্পণ করতে হবে। পিকেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসী তালিকায় নথিভুক্ত সংগঠন।

কুর্দি প্রবাসীদের সাথে সুইডেনের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আশ্রয় পাওয়া অনেকের মধ্যে তুরস্কে নিষিদ্ধ পিকেকের সদস্য রয়েছে। তুরস্ক সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেছে।

গত ডিসেম্বরে সুইডেনের সুপ্রিম কোর্ট নির্বাসিত তুর্কি সাংবাদিক বুলেন্ট কেনেসের প্রত্যর্পণকে আটকে দেয়। অথচ স্টকহোমের ন্যাটো সদস্যপদ অনুমোদনের জন্য আঙ্কারার মূল দাবিগুলোর মধ্যে একটি চিল বুলেন্টকে প্রত্যর্পণ করা।

বুলেন্ট ২০১৬ সালে তুরস্কের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে মনে করে আঙ্কারা।

বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা ৩০। দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র হাঙ্গেরি ও তুরস্ক এখনও সুইডেন-ফিনল্যান্ডের আবেদন অনুমোদন করেনি।