পুতিনের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার বিরোধের কথা নতুন কিছু নয়। ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে বিরোধীতার বিষয়টি সামনে চলে আসে। তবে সময়ের স্রোতে আর ক্ষমতার পালাবদলে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ যুক্তরাষ্ট্র।

স্পষ্ট করে বললে পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুক্তরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই পুতিনের প্রশংসায় বিভিন্ন বাক্য খরচ করে রীতিমতো আলোচনায় ছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, 'পুতিন অনেক বড় এবং প্রভাবশালী নেতা। ৮২ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে অত্যন্ত ভালো কাজ করছেন। রাশিয়া পুনর্গঠনে তার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।'

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট অবশ্য একবার ট্রাম্পকে মেধাবী মানুষ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। পরে পুতিনের এই প্রশংসা বাক্যকে বিরাট সম্মানের বলে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেন, 'বারাক ওবামার চাইতেও বিচক্ষণ এবং দক্ষ নেতা পুতিন।'

সেই সময় ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছিলেন তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্পের এই ধরনের বক্তব্য কোন দেশপ্রেমিকের হতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। আরেক বক্তব্যে ট্রাম্পের পুতিনপ্রীতিকে অনেক ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেন হিলারি। শুধু হিলারিই নয়, ট্রাম্পের পুতিনপ্রীতির কঠোর বিরোধীতা করেন তার দলের লোকজনও। তারপরও থেমে থাকেননি ট্রাম্প।

মার্কিন নির্বাচনে অপ্রত্যাশিতভাবে ট্রাম্পের জয় লাভের পর ট্রাম্প অভিনন্দন জানাতে ফোন করেন পুতিন। এরপর ট্রাম্পকে নানা প্রশংসায় ভাসান তিনি। দুই দেশ রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন তারা।

পুতিন এবং ট্রাম্পের এমন সম্পর্ক বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জামেলি বাউইর বলছেন, একরোখা এবং ক্ষমতাধর শাসকদের প্রতি ট্রাম্পের আগে থেকে পক্ষপাত ছিল। তিনি সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি, কিম জং উনেরও প্রশংসা করেন। তাই হয়তো পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের অনুরাগটা একটু বেশি। মার্কিন কলাম লেখক ইউজিন রবিনসন আবার বলছেন, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক উন্নয়নের পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ স্কুলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কে অধ্যাপক নিনা কুরুশ্চেভা মনে করেন পুতিনের মতো প্রভাবশালী নেতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ট্রাম্প।

নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস-এর আলোচনা অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, 'যদি রাশিয়ার সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাহলে বিষয়টা নিশ্চয়ই ভালো হবে। আমরা একসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করতে পারবো।'

আপনি আরো পড়তে পারেন

মুসলিম নির্যাতনে বিশ্বকে দায়ী করছেন সুচি

মিয়ানমার কনস্যুলেট ঘেরাও করবে কলকাতার মুসলিমরা

ঐতিহ্য ভেঙে সমালোচনার শিকার ট্রাম্প

ইন্দোনেশিয়ায় ইসলাম ধর্ম অবমাননায় ২ লাখ মানুষের বিক্ষোভ

ইতালিতে প্রস্তাবিত নতুন আইন, ভাগ্য বদলাবে বাংলাদেশিদের