পোল্যান্ড: জার্মানি থাকুক না থাকুক ইউক্রেন জিতবে

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিয়েভের বিরুদ্ধে শুরু করা মস্কোর যুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হবে ইউক্রেন ও ইউরোপ, সেটা জার্মানি সঙ্গে থাকুক বা না থাকুক। বিষয়টি এখন পুরোপুরিভাবে বার্লিনের ওপর নির্ভর করছে। খবর আনাদোলু।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি

পোলিশ প্রেস এজেন্সিকে (পিএপি) দেওয়া রোববারের এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বলেন, আমি সাধারণত মেপে কথা বলি। তারপরও আমি স্পষ্টভাবেই বলবো, জার্মানি সঙ্গে থাকুক বা না-ই থাকুক ইউক্রেন ও ইউরোপ এই যুদ্ধে জয়ী হবে। বিষয়টি এখন নির্ভর করছে বার্লিনের ওপর, তারা কি রাশিয়াকে থামানোর মিশনে যোগ দিবে না কি নিষ্ক্রিয়ভাবে তাকিয়ে থাকবে। তবে নিষ্ক্রয়ভাবে থাকলে ভুল পক্ষ নেওয়ায় ইতিহাস বার্লিনের নিন্দা করবে।

গত শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কিয়েভের মিত্ররা জার্মানির লেপার্ড ২ যুদ্ধ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়ে একমত হতে পারেনি। এর পরই মোরাউইকি এ মন্তব্য করেন।

লেপার্ড ২ ট্যাংক

ট্যাংক না পাঠানোর ক্ষেত্রে জার্মানির অবস্থানকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে, রুশ সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ টেলিভিশনে ও ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। এরপরও চোখ খুলে কাজ করতে জার্মানির আর কী দরকার?

তিনি বলেন, জার্মানিকে তো আর পুরো অস্ত্র দিতে হচ্ছে না। তাদের কেবল ছোট একটি দিলেই হবে। কিন্তু তাদের কাজের দ্বারা অন্য দেশের কার্যকলাপকে দুর্বল করা ঠিক নয়।

ইউক্রেন ইস্যুতে পোল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো একটি জোট তৈরি করেছে। কিন্তু যখন ভারী অস্ত্র দেওয়ার কথা উঠেছে, তখনই জার্মানি এতে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। আসলে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল, সেটার দ্বারা তারা ফাঁদে পড়ে গেছে। এখন শত্রুরা কাছে এসে পড়েছে, আর আমরা এমন সব আলোচনায় সময় নষ্ট করছি, যা থেকে ভালো কোনো ফল আশা করা যায় না।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর কিছুদিন পর থেকেই কিয়েভ জার্মানির কাছ থেকে লেপার্ড ২ ট্যাংক দাবি করে আসছিল। বিষয়টিতে জার্মানি বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। গত শুক্রবার এ নিয়ে ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলো এক বৈঠকে বসে। সেখানেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।