তীব্র যুদ্ধ চলছে, আরও অস্ত্র চায় কিয়েভ

পূর্ব ইউক্রেনে ভারী লড়াই চলছে। রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ভেদ করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, কিয়েভের জন্য পশ্চিমা অস্ত্র-সরঞ্জাম আরও প্রয়োজন। এএফপির খবর।

রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কিয়েভের একটি ভবন

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এর একদিন পর পূর্বাঞ্চলে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলমান রয়েছে। ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক সরবরাহ করার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর যুদ্ধ জোরদার করেছে কিয়েভ।

কয়েক সপ্তাহ ধরে কিয়েভে ট্যাঙ্ক সরবরাহের জন্য চাপের মুখে ছিল জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ান বাহিনীকে হটাতে ইউক্রেনকে ডজন ডজন আধুনিক ট্যাঙ্ক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশ দুটি। তাদের এই প্রতিশ্রুতি কানাডা, পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নরওয়ের এবং অন্যান্য দেশের কাছ থেকেও ট্যাঙ্ক পাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমাদের নজিরবিহীন প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধের দ্বাদশ মাসে হানাদারদের প্রতিহত করতে আরও অস্ত্রের প্রয়োজন বলে তিনি স্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার টেলিভিশন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ান আগ্রাসন শুধু পর্যাপ্ত অস্ত্র দিয়েই বন্ধ করা যেতে পারে এবং সেটাই করা উচিত। রাশিয়াকে ‌‌সন্ত্রাসী রাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আর সোজা পথে আসবে না। যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্রই আমাদের আকাশ রক্ষা করে। পশ্চিমাদের উচিত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ৫৯টি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের দিকে ছুটে আসে। এর মধ্যে ৪৭টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে কিয়েভ বাহিনী। রাশিয়া ৩৭টি বিমান হামলাও চালায়। এর মধ্যে ১৭টি ছিল ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন। সব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

দেশটির জরুরি পরিষেবা মুখপাত্র জানিয়েছেন, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন। এগুলো একাধিক অঞ্চলে আঘাত হানার পর অন্তত এক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার ইউক্রেনের উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বে ভারী গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন।