পূর্ব জেরুজালেমে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭

জেরুজালেমের উপকণ্ঠে একটি সিনাগগের বাইরে বন্দুকধারীর হামলায় এক কিশোরসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই বন্দুকধারীও নিহত হন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্স।

জেরুজালেমের একটি সিনাগগের বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে সাতজন মারা যায়

শুক্রবারের এই হামলার পর ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ) জানায়, তারা ১০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ও ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, একটি গাড়ি ওই সিনাগগের সামনে এসে থামে। পরে ওই গাড়ি থেকে একজন বন্দুকধারী বেরিয়ে এসে গুলি ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারীও মারা যায়। গাড়িতে আরও একজন ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ইসরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনী।

জেরুজালেমে ইসরায়েলি পুলিশের প্রহরা

ইসরায়েলি পুলিশ এটিকে একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নেভ ইয়াকভের একটি উপাসনালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় (হত্যা) করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান করছে।

নেভ ইয়াকভকে জেরুজালেমের একটি প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করে ইসরায়েলিরা। তবে ফিলিস্তিনিরাসহ বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পরে ইসরায়েলিদের অবৈধভাবে দখলকৃত জমি বলে মনে করে।

দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থীশিবিরে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো এক সামরিক অভিযানে বয়স্ক এক নারীসহ ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর পরদিন জেরুজালেমের উপকণ্ঠে এই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটল।

গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম গণমাধ্যমকে বলেন, এই অপারেশনটি জেনিনে দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে তিনি এ হামলার দায় স্বীকার করেননি। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদও এ হামলার প্রশংসা করেছে। কিন্তু তারাও এ হামলার দাবি করেনি।

এই ঘটনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। তবে পাল্টাপাল্টি এ হামলা বেশিক্ষণ চলেনি।