সুদানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির পথে ইসরায়েল

আরব লীগের সদস্য সুদানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়তে শান্তিচুক্তির পথে চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গিয়েছে ইহুদিরাষ্ট্র ইসরায়েল। শান্তিচুক্তির লিখিত চূড়ান্ত করেছে দেশদুটি। চলতি বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসে ওই শান্তিচুক্তি সইয়ের আশা করছে ইসরায়েল। খবর সিএনএন।

খার্তুম সফর করেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন

শান্তিচুক্তি ইস্যুতে সুদানের রাজধানী খার্তুম সফর সেরে এসেছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেলআভিবে পৌঁছে কোহেন জানান, ইসরায়েল ও সুদান শান্তির চুক্তির লিখিত খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এ বছরের শেষদিকেই চুক্তি সই হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতিতেই খার্তুম সফরে গেছেন বলে জানান কোহেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। সুদানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি ইসরায়েলের জন্য একটি মাইলফলক।

কোহেন বলেন, ইসরায়েলে খার্তুমকে স্মরণ করা হয়, সেই ঐতিহাসিক শহর হিসেবে, যেখানে আরব দেশগুলো ‘তিনটি না’ নির্ধারণ করেছিল; ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি নয়, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা নয়, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয়।

কোহেন উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, আমরা সুদানীদের সঙ্গে নতুন বাস্তবতা গড়ে তুলছি, যেখানে ওই তিনটি ‘না' হয়ে উঠবে তিনটি ‘হ্যাঁ’। এখন থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে সুদান “আলোচনার জন্য হ্যাঁ, স্বীকৃতির জন্য হ্যাঁ এবং ইহুদি রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য শান্তির জন্য হ্যাঁ বলবে।”

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিকসহ মিত্র সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় আরব দেশ সুদান। যুক্তরাষ্ট্রের কলকাঠিতে এর আগে আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইহুদি রাষ্ট্রটির সঙ্গে বন্ধুতার পথে হেঁটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হোয়াইট হাউসে বসে বাহরাইন ও আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তি হয়।

ট্রাম্পই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে যাচ্ছে সুদানও। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তালিকা সুদানকে বাদ দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।

সুদানের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সেই তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।

সুদানে বর্তমানে সামরিক সরকার রয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়াটি থমকে হয়ে যায়।

ইসরায়েলসহ সংশ্লিষ্টরা আশা করছে, চলতি বছরের কোনো এক সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার পরই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।