ইউক্রেনকে যে অস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবছেন নেতানিয়াহু

ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার কথা ভাবছে তেলআবিব। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেন। খবর আনাদোলু।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

ফরাসি এলসিআই চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি পূর্ববর্তী ইসরায়েলি সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমি এই সমস্যাটি নিয়ে ভাবছি এবং আশা করছি সবচেয়ে ভালোভাবে বিষয়টির উত্তর দিতে পারবো।

এ সময় তিনি অবশ্য বলেন, এক্ষেত্রে ইসরায়েলকে তার বিকল্পগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে এবং এই অঞ্চলে তার স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সহায়তা অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও হতে পারে। বিষয়টির ব্যাখ্যায় নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে।

আয়রন ডোম

উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করে। পরে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশই তাদেরকে সামরিক সহায়তা দিয়ে রাশিয়াকে মোকাবেলায় সাহায্য করে। কিন্তু ইসরায়েলের তৎকালীন সরকার ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দিলেও সামরিক কোনো সহায়তা দিতে রাজি হয়নি। সম্প্রতি ইসরায়েলে নতুন সরকার আসার পর বিষয়টি আবারও আলোচনায় ওঠে এসেছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা গতকাল বলেছেন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতা করার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের মন্তব্য ‘কাল্পনিক’। গতকাল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়, বেনেট দাবি করেন, জেলেনস্কিকে হত্যা না করার ব্যাপারে পুতিন নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

টুইটারে জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, ন্যাটো সম্প্রসারণ, নিরাপত্তা গ্যারান্টি বা নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না, বরং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ইউক্রেনকে ধ্বংস এবং ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বেনেট বলেন, পুতিন তাকে মধ্যস্থতামূলক আলোচনার সময় আশ্বাস দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার হাতে নিহত হবে না।