ব্যালট ছাপতে পারেনি শ্রীলঙ্কা, অনিশ্চিত নির্বাচন

আর্থিক সংকটের কারণে ব্যালট পেপার ছাপতে পারেনি শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন। এ কারণে দেশটিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পোস্টাল ভোটিং স্থগিত করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে ভোটগ্রহণ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন আজ ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠাতে পারেনি

আগামী ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১ হাজার ১১৬টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন তা পারেনি।

নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার জেনারেল অব ইলেকশনস সমন শ্রী রত্নায়েকে বলেছেন, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যালট পেপার আজ পাঠানোর কথা থাকলেও ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং ব্যালট পেপার ডেলিভারি দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, যথাসময়ে ব্যালট পেতে আমি শুক্রবার সরকারি মুদ্রণ বিভাগের প্রধান গঙ্গানি লিয়ানাগের সঙ্গে সাক্ষাত করি। তিনি আমাকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার মধ্যে ব্যালট পেপার সরবরাহের আশ্বাস দেন। কিন্তু দুইদিন পর তিনি প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গিয়ে আমাদের এ মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন যে ছাপানোর ব্যয় বাবদ ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার রুপি বুঝে না পেলে তারা ব্যালট পেপার ছাপতে পারবেন না।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে অর্থমন্ত্রী হিসেবে সরকারি দপ্তরগুলোতে এক চিঠি পাঠান। এতে কঠোরভাবে ব্যয় সঙ্কোচন ও কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণের আদেশ দেওয়া হয়।

যথাযথ অনুমোদন ও তহবিল প্রাপ্তির আগে সরকারি দপ্তরগুলো কোনো কেনাকাটা করলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়ী থাকতে হবে মর্মে প্রেসিডেন্টের চিঠির কারণে ব্যালট পেপার ছাপানো সম্ভব হচ্ছে না বলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান জানান।

কমিশনার জেনারেল অব ইলেকশনসের অভিযোগের বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট প্রিন্টিংয়ের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গতকাল সোমবার গভর্নমেন্ট প্রিন্টার গঙ্গানি লিয়ানাগে সাংবাদিকদের জানান, তহবিল না থাকায় তাদের পক্ষে ব্যালট পেপার ছাপানো সম্ভব হচ্ছে না।

শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলো আগে থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন না করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো তহবিল নেই।