চ্যাম্পিয়ন লাহোর, শেষ বলে হারল সেই মুলতান

ঠিক যেন গত আসরের পুনরাবৃত্তি হলো। মুলতান সুলতান্সকে হারিয়ে আবারও পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা জিতল লাহোর কালান্দার্স। শনিবার রাতে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নাটকীয় ফাইনালে মুলতানকে এক রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর। পিএসএলে এটা টানা দ্বিতীয় শিরোপা লাহোরের।

মুলতান সুলতান্সকে হারিয়ে আবারও পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা জিতল লাহোর কালান্দার্স

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় উইকেটে ২০০ রান করে লাহোর কালান্দার্স। জবাবে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে আট উইকেটে ১৯৯ রান তুলতে সক্ষম হয় মুলতান। এ নিয়ে পরপর দুই আসরের ফাইনালে লাহোরের কাছে হারল তারা। শেষ বলে চার রান দরকার ছিল মুলতানের। কিন্তু দুই রান নিতে সক্ষম হয় মুলতান।

শেষ ওভারে মুলতানের সামনে ১৩ রানের সমীকরণ ছিল। তারা নিতে পেরেছে ১১ রান। ম্যাচটা অবশ্য জমে উঠেছিল আরও আগেই। ১৮ বলে ৪১ রানের দরকার ছিল মুলতানের। কিন্তু ১৮তম ওভারে এসে ছয় রানে তিন উইকেট নেন লাহোর অধিনায়ক ও পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু ম্যাচটা হারার আগে হারল না মুলতান।

পিএসএলে এটা টানা দ্বিতীয় শিরোপা লাহোরের

১৯তম ওভারে দুই চার ও এক ছয়ে ২২ রান নেয় মুলতান। শেষ ওভারে জামান খান আগলে রাখেন লাহোরের ১২ রানের পুঁজি। অথচ ম্যাচটা সহজ জয়ের পথেই ছিল মুলতান। রান তাড়ায় এক উইকেটে দলীয় শতক পার করেছিল তারা। ১১তম ওভারে রাইলি রুশোকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেয় লাহোর।

৩২ বলে ৫২ রান করেন রুশো। একটু পর সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৩ বলে ৩৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১২ বলে ১৮ রানে বিদায় নেন আরেক ওপেনার উসমান খান। এ ছাড়া কাইরন পোলার্ড ১৯ ও টিম ডেভিড ২০ রান করেন। শেষ দিকে ঝড় ওঠে খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদির ব্যাটে।

১২ বলে ২৫ রান করা খুশদিল ম্যাচের শেষ বলে রান আউট হন। রানটা দিতে পারলে ফাইনাল গড়াত সুপার ওভারে। অন্য প্রান্তে ছয় বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন আব্বাস। ৫১ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শাহিন। ২৬ রানে দুটি শিকার রশিদ খানের। ৩১ রানের বিনিময়ে এক উইকেট পেয়েছেন ডেভিড ভিসা। মুলতানের উসামা মির ২৪ রানে নেন তিন উইকেট।

কেবল বল হাতেই নয়, ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছিলেন লাহোর অধিনায়ক শাহিন। ১৫ বলে দুই চার ও পাঁচ ছক্কায় ৪৪ রানের টর্নোডো ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ দিকে শাহিনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে লাহোর ছুঁয়ে ফেলে দুশো রানের গণ্ডি। দলটির বড় সংগ্রহে অবদান আছে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারেরও।

১৮ বলে ৩৮ রান করেন মির্জা বেইগ। ৩৪ বলে ৩৯ রান এসেছে আরেক ওপেনার ফখর জামানের ব্যাট থেকে। ৪০ বলে ৬৫ রানের ঝড় ওঠে আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে। ব্যাটাররা গড়ে দিয়েছেন জয়ের ভিত। পরে নাটকীয় জয়ে বাকি কাজটা সারলেন বোলাররা। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাহিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

লাহোর কালান্দার্স: ২০ ওভার, ২০০/৬
মুলতান সুলতান্স: ২০ ওভার ১৯৯/৮
ফল: লাহোর কালান্দার্স এক রানে জয়ী ও চ্যাম্পিয়ন
ম্যাচ সেরা: শাহিন শাহ আফ্রিদি