মার্কিন মহড়ার প্রতিবাদে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেন কিম

উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় সম্মিলিত সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এতে দমেনি কিম জং উনের দেশ। বরং এ সামরিক মহড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরও বেশি করে অস্ত্র পরীক্ষা অব্যাহত রেখেছে পিয়ংইয়ং। সোমবার সকালেও উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলের সমুদ্রে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে সিউল। খবর আলজাজিরা ও নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেএসসি) জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টার কিছু আগে উত্তর কোরিয়ার হোয়াংহাই প্রদেশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।

জেএসসি এই উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আমরা উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর নিবিড় নজর রাখব এবং তাদের যে কোনো উসকানির জবাব দিতে পূর্ণ প্রস্তুতি নেব।

যৌথ মহড়া

যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার জবাবে এ মাসে উত্তর কোরিয়ার সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ছিল এটি। দেশ দুটি গত সপ্তাহে ১১ দিনের একটি মহড়া শেষ করেছে, যা ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া।

এদিকে উত্তর কোরিয়াকে দমাতে এ মহড়া করা হলেও এখন ধারণা করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া তার অস্ত্র পরীক্ষা আরও বাড়িয়ে দেবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আরও এক দফা যৌথ মহড়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করতে আরও বেশি যৌথ মহড়া ও সামরিক শক্তির প্রদর্শনীর ওপর জোর দিচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়ল।

পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধে উত্তর কোরিয়াকে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বরং এর পরপরই পিয়ংইয়ং রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, ২০১৭ সালের পর এ বছর থেকে উত্তর কোরিয়া আবার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে।