লিটন-রনির তাণ্ডবের পর তাসকিন ‘ঝড়’

ব্যাট হাতে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ইনিংস শেষ করতে পারেনি টাইগাররা। চার বল বাকি থাকতে সাকিব আল হাসানদের থামতে হয়েছে। পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ২০৭ রান। যা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে টি-টোয়েন্টি দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ এবং দেশের মাটিতে টাইগারদের সবচেয়ে বড় স্কোর।

লিটন-রনির তাণ্ডবের পর তাসকিন ‘ঝড়’

বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়তে পারতো বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে তা হয়নি। কিন্তু রানের পাহাড় গড়লেও বোলাররা পুঁজি হিসেবে পেয়েছেন প্রায় অর্ধের রান। ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য নেমে এসেছে ১০৪ রানে। ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে আট ওভারে।

জবাবে আট ওভারে পাঁচ উইকেটে ৮১ রান তুলতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড। ডি/এল পদ্ধতিতে ২২ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। আইরিশদের পক্ষে অধিনায়ক পল স্টার্লিং আট বলে ১৭, রম অ্যাডাইর ১০ বলে ১৩, হ্যারি টেক্টর ১২ বলে ১৯ রানে আউট হন। শেষ দিকে গ্যারেথ ডিলানি ১৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

বৃষ্টিভেজা ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পতন হওয়া উইকেটের চারটিই নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দুই ওভারে ১৬ রান খরচ করেছেন টাইগার পেসার। দুই ওভারে কুড়ি রান দিয়ে উইকেটটা নিয়েছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। আগামী বুধবার চট্টগ্রামের একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। প্রথম সাত ওভারেই ৯১ রান যোগ করেন তারা। জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। ২৩ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৪৭ রান করেন এই ওপেনার।

৩৮ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস সাজান রনি। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটাই তার প্রথম ফিফটি। বিধ্বংসী এই ইনিংসে প্রত্যাশিতভাবেই রনি হয়েছেন ম্যাচ সেরা। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমে আসে। ২০ বলে ৩০ রান করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

১৩ বলে ১৪ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। আট বলে ১৩ রানে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। শেষ দিকে ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং। একটি করে শিকার হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডাইর ও গ্রাহাম হুমের।