রাশিয়ায় কোরআন অবমাননাকারী যুবক গ্রেপ্তার

রাশিয়ায় কোরআন অবমাননা করার অভিযোগে মিশরীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উলিয়ানভস্ক প্রদেশের গভর্নর আলেক্সি রুস্কিখ তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। খবর মিডলইস্টমনিটর।

পবিত্র কোরআন শরিফ

ঘৃণ্য এ কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে গভর্নর রুস্কিখ বলেন, ইন্টারনেটে প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপ দেখা গেছে, একজন বিদেশি নাগরিক রাশিয়ায় মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনকে অবমাননা করছে। এ ধরনের সন্ত্রাসের কোনো জাতীয়তা বা ধর্ম নেই। এটি সকলের বিরুদ্ধে সংঘটিত একটি অপরাধ।

এ ঘটনায় উলিয়ানভস্ক অঞ্চলের গভর্নর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অঞ্চল বহুজাতিক। আমরা পরস্পরকে সম্মান করি, একে অপরের ঐতিহ্য, রীতিনীতিকে সম্মান করি। অন্যদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি আমরা খুবই সংবেদনশীল। কোনো কোনো দেশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড একটি বিকৃত নিয়ম হতে পারে, কিন্তু রাশিয়ায় কোরআনের প্রতি অসম্মান করা একটি জঘন্য অপরাধ।

উলিয়ানভস্ক প্রদেশের গভর্নর আলেক্সি রুস্কিখ কোরআন অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সাঈদ আবদুর রাজ্জাক নামের ২৮ বছর বয়সী এক মিশরীয় যুবক কোরআন পদদলিত করার পর তাতে মদ ছিটিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করেন। পুরো ঘটনাটি তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। গত ১ জুন শহরের সিয়াগা নদীর ওপর একটি ব্রিজে তিনি এ কাজটি করেন। পরে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।

পুলিশ জানায়, বিদেশি যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হলে রাশিয়ায় তার পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

সাঈদ আবদুর রাজ্জাক নামের ওই যুবকের ব্যাপারে আরও জানা গেছে, তিনি আগে মুসলিম ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। এ কারণে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হলে তিনি ২০১৯ সালে মিশর থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় চলে যান। রাশিয়ায় অবস্থানকালে তিনি এক রুশ নারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের তিন বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। এক পর্যায়ে তারা আলাদা হয়ে যান। ওই নারী জানান, তার সাবেক স্বামী ছেলেকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন। ফলে তিনি পুলিশে রিপোর্ট করতে বাধ্য হয়েছিলেন।