ইউক্রেন-তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ রাশিয়া

শস্যচুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে তুরস্ক গিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিষয়টি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানতে পারেননি তিনি। একেবারে খালি হাতেও তুরস্ক থেকে ফেরেননি জেলেনস্কি। তুরস্কে বন্দী থাকা ইউক্রেনের সাবেক পাঁচ কমান্ডারকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। তবে এ ঘটনায় ইউক্রেন ও তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে রাশিয়া। দেশটির বক্তব্য, উভয় দেশই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। খবর রয়টার্স।

পাঁচ কমান্ডারের সঙ্গে জেলেনস্কি

জানা গেছে, ইউক্রেনের মারিউপোল গ্যারিসনে দায়িত্ব পালন করছিলেন পাঁচ কমান্ডার- ডেনিস প্রোকোপেনকো, স্ব্যাটোস্ল্যভ পালামার, সের্হি ভলিনস্কি, ওলেহ খোমেনকো ও ডেনিস শ্লেহা। গত বছর রাশিয়া মারিউপোল দখলের সময় তারা আজভস্টাল স্টিল প্ল্যান্ট থেকে প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে রুশ সেনারা তাদেরকে কোণঠাসা করে ফেললে কারখানার নিচের টানেল ও বাংকারে আটকা পড়েন তারা। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মে মাসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলে কিয়েভ। আত্মসমর্পনের পর বন্দী হিসেবে তাদের তুরস্কে পাঠানো হয়।

গত শনিবার তাদের নিয়ে দেশে ফেরেন জেলেনস্কি। তার শেয়ার করা টেলিগ্রামের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কমান্ডাররা বিমানে ওঠার আগে একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এবং জেলেনস্কিও তাদের আলিঙ্গন করছেন। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে জেলেনস্কি লেখেন, তুরস্ক থেকে দেশে ফিরছি এবং আমাদের নায়কদের দেশে নিয়ে আসছি।

দিমিত্রি পেসকভ

এদিকে পাঁচ কমান্ডারকে এভাবে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনা বন্দীবিনিময় চুক্তির লঙ্ঘন। তাছাড়া এই বিষয়টি মস্কোর অজান্তেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, আঙ্কারার মধ্যস্থতায় গত সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দী বিনিময় করে মস্কো। তবে সেই চুক্তিতে শর্ত ছিল, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনীয় এসব কমান্ডারকে তুরস্কে অবস্থান করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আঙ্কারা। চুক্তির সেই শর্ত ভঙ্গ করায় ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয় পক্ষের ওপরই ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া।

এদিকে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কেন জেলেনস্কি তাদের নিয়ে গেলেন, আর কেনই বা তুরস্ক তাদের যেতে দিল, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।