ডেনমার্কে মিশরীয়-তুর্কি দূতাবাসের সামনে কোরআন অবমাননা

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে মিশরীয় ও তুরস্কের দূতাবাসের সামনে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের কপিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উগ্র ডানপন্থীদের একটি ছোট দল। ২৫ জুলাই, মঙ্গলবার কোপেনহেগেনে এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ডেনমার্ক ও সুইডেনে ইসলামবিদ্বেষী এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর রয়টার্স।

কোপেনহেগেনে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা মিশর এবং তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কোরআন পুড়িয়েছে

ডেনমার্ক এবং সুইডেন বলেছে, তারা ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোর নিন্দা জানাচ্ছে। কিন্তু দেশ দুটির সংবিধানে বাকস্বাধীনতাকে রক্ষা করার নিয়ম থাকায় তারা এ ধরনের ঘটনায় বাধা দিতে পারবে না। গত সপ্তাহে, ইরাকের বিক্ষোভকারীরা কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে বাগদাদে সুইডিশ দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

মঙ্গলবার কোপেনহেগেনে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা মিশর এবং তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কোরআন পুড়িয়েছে। চরমপন্থী এই গ্রুপটি সোমবার এবং গত সপ্তাহে ইরাকি দূতাবাসের সামনে একই কাজ করেছিল। পাশাপাশি গত এক মাসে সুইডেনে কোরআন অবমাননা করার দুটি ঘটনা ঘটেছে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার সুইডেনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়েছে।

ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার ইইউ দেশগুলোর কর্তৃপক্ষকে তথাকথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে বৈধতা দেওয়ার বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে।

তুরস্ক এ ধরনের ঘটনাকে কোরআনের উপর ‘ঘৃণ্য আক্রমণ’ বলে তীব্র নিন্দা করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে এই ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধ’ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডেনমার্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুর্কি সরকার।

এদিকে ডেনমার্ক ধর্মীয় বই পোড়ানোকে উস্কানিমূলক এবং লজ্জাজনক কাজ হিসেবে নিন্দা করেছে। পাশাপাশি বলেছে, অহিংস বিক্ষোভকারীদের আটকানোর ক্ষমতা তাদের নেই।

মঙ্গলবার ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন জানিয়েছেন, তিনি ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেছেন।