৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা: এবার জানা গেল উল্টো কথা

দেড় মাস ধরে বলা হচ্ছে, হামাস ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে একটি সঙ্গীত উৎসবে অংশ নেওয়া নিরীহ ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। তার জেরেই ইসরায়েলিরা গাজায় হামলা চালাচ্ছে। তবে সম্প্রতি ইসরায়েলি গণমাধ্যম এর ভিন্ন কিছু তথ্য প্রকাশ করছে। সেখানে বলা হচ্ছে, হামাস নয় ইসরায়েলিদের হেলিকপ্টার থেকে করা হামলাতে সেখানকার নিরীহ নাগরিকেরা নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি হেলিকপ্টার

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ৭ অক্টোবরের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেশটির চ্যানেল ১২-এর হাতে আসে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের ওই দিনের হামলা পূর্ব পরিকল্পিত থাকলেও নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালের বিষয়টি তাদের পরিকল্পনায় ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার লোকজনকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনাও তাদের ছিল না। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ম্যাপ ও অন্য তথ্য থেকে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় বরং রামাত ডেভিড ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলি একটি সামরিক হেলিকপ্টার উড়ে এসে সেখানে হামলা চালায়। হামাস সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলেও এতে উৎসবে অংশগ্রহণকারী অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে জানা গেছে, ওই স্থানে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ১৭ পুলিশসহ ৩৬৪ জন নিহত হযেছেন।

সঙ্গীত অনুষ্ঠানস্থল

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাসের আল কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যরা মূলত সীমান্তবর্তী কিবুৎজ রেইম এবং গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী কয়েকটি গ্রামে হামলার পরিকল্পনা করে। ড্রোন ও প্যারাস্যুটের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশের সময় ওই সঙ্গীতায়োজন তাদের নজরে পড়ে। আগে থেকে ওই অনুষ্ঠানকে ঘিরে হামলার কোনো পরিকল্পনা না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে তাদের কিছুটা সময় লেগে যায়। এরই মধ্যে ওই উৎসব থেকে প্রায় সবাই পালিয়ে যেতে থাকে। তখন হামাস সদস্য সন্দেহে এসব পলায়নপর মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি বেতার সংস্থা কানের একটি রেডিও প্রোগ্রামে ওই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াসমিন পোরাত জানান, ইসরায়েলি বাহিনী সেদিন হামলার ক্ষেত্রে বাছবিচার করেনি। তারা জিম্মিসহ সবাইকে টার্গেট করে গুলি চালিয়েছে। সেদিন ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণও করা হয়েছিল। ফলে হামাস সদস্যদের পাশাপাশি ইসরায়েলি নাগরিকও নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে বিদেশিরাও ছিলেন।