মিশরের প্রেসিডেন্ট: গাজা পুনর্গঠনে লাগবে ৯০ বিলিয়ন ডলার

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে পুনর্গঠনে ৯০ বিলিয়ন বা নয় হাজার কোটি ডলার প্রয়োজন হবে। শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানী কায়রোর একটি কনভেনশন সেন্টারে ভাষণ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন সিসি। খবর আনাদোলু।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি

খবরে বলা হয়, সিসি সম্প্রতি মিশরের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে গাজার পুনর্গঠনের খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। অনেক বিচার-বিশ্লেষণের পর তারা জানায়, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে গাজায় ৯০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।

গাজা পরিস্থিতি সম্পর্কে সিসি বলেন, গাজায় যা ঘটেছে তা মিশরসহ পুরো অঞ্চলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় মিশর সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথভাবে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করছে। শুক্রবার তারা পঞ্চমবারের মতো এয়ারড্রপের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করেন।

স্থলপথে গাজায় সাহায্য পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ার কারণে অনেকেই গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে ‘এয়ারড্রপ’ মাধ্যমটি বেছে নিয়েছে। তবে শুক্রবার মার্কিন একটি বিমানের ফেলা এয়ারড্রপ ত্রাণ বাণ্ডিলের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত হলে পুরো প্রক্রিয়ায়টি সমালোচনার মুখে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র আবার সমুদ্রপথে গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে।

বিধ্বস্ত গাজা

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে। এ পর্যন্ত তাদের হামলায় প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার। হতাহতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ করা হলে অন্তর্বর্তী এক রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা মানার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।