ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রস্তাব পার্লামেন্টে তুলবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানের প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। স্পেনের বিলবাও শহরে একটি মানবাধিকার সম্মেলনে শনিবার এ কথা জানিয়েছেন সানচেজ। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘোষণা দেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী। খবর এবিসি নিউজ ও আরব নিউজের।

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্পেনের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব পার্লামেন্টে তুলবো। আমি নৈতিক প্রত্যয় থেকে এটি করবো। এই প্রস্তাবের একটি ন্যায্য কারণ হচ্ছে, এটিই একমাত্র উপায় যে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন, পাশাপাশি একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

ইসরায়েল গত পাঁচমাসের বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত হামলায় গাজায় প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি অব্যাহত বিমান হামলায় গাজার ৮০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছেন উপত্যকার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ।

গাজায় হামলা বন্ধ বা যুদ্ধবিরতির জন্য বিশ্বজুড়ে দাবি উঠলেও তাতে কর্ণপাত করছে না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আর তাই বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ইউরোপীয় অনেক নেতাই মধ্যপ্রাচ্যে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য অনেক নেতাই এরইমধ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি তুলেছেন। ইউরোপীয় নেতাদের সেই দাবির কোরাসে যুক্ত হলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজ।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত মাসে বলেছিলেন, ফ্রান্সের পক্ষে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া নিষিদ্ধ নয়।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও বলেছেন, চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধ বা যুদ্ধবিরতির পর যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে।