গাজায় মোবাইল ফোনের আলো দিয়ে শিশুদের চিকিৎসা!

ইসরায়েলি হামলায় গাজা এখন মৃত্যুপুরী। তারপরও থেমে নেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যারা মারা যাচ্ছে, তাদের মরদেহ দাফনের জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। আর যারা আহত তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুদের চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে মোবাইল ফোনের আলোতে। খবর মিডলইস্টমনিটর।

মোবাইলের বাতি দিয়ে চলছে শিশুর চিকিৎসা

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, গাজা শহরের ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে চিকিৎসকরা একটি ছোট মেয়ের চিকিৎসা করছেন। শিশুটি তার বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়েছিল। হামলার তীব্রতায় সে বাড়ির পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে পরিবারের লোকজান তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে চিকিৎসকরা বাধ্য হয়ে মোবাইল আলো ব্যবহার করেই তার চিকিৎসা করেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত ১৫৫টি চিকিৎসা কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে তারা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছেন।

বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসাতে মোবাইলের বাতিই ভরসা

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে এবং এক মাস পর গাজায় দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা অবরোধ আরও জোরদার করে। এ সময় তারা গাজায় মানবিক সাহায্যের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে। এর ফলে গাজার লোকজন খাদ্য, পানীয় ও চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র সংকটে পড়ে।

গাজাবাসীদের সংকট আরও বাড়াতে একপর্যায়ে ইসরায়েল গাজায় সব ধরনের জ্বলানি সরবরাহও বন্ধ করে দেয়। ফলে হাসপাতালের মতো জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হতে থাকে। এ কারণে অনেক আগে থেকেই অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে।