বিক্ষোভ দমনে গুলি: কেনিয়ায় পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ

কেনিয়ায় পুরো মন্ত্রিসভা বরখাস্তের একদিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন দেশটির পুলিশ প্রধান জাফেট কুমে। সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে হতাহতের দায় নিয়ে শুক্রবার পদত্যাগ করলেন তিনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো আগের দিন বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে মন্ত্রিসভা বরখাস্ত করেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

কেনিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক দমন চালায় পুলিশ

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় শুক্রবার বলেছে, প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল জ্যাফেট কুমের পদত্যাগপত্র’ গ্রহণ করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে দেশের পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন কুমে।

প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ডেপুটি ইন্সপেক্টর-জেনারেল ডগলাস কানজাকে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি একটি ট্যাক্স বিল পাস করা নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কেনিয়ায়। প্রথমে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে তা সহিংস হয়ে ওঠে। এমনকি বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।

বিক্ষোভকারীদের দমনে টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ২৫ জুন পার্লামেন্টে হামলা চালালে জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ।

কেনিয়ার জাতীয় মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্যমতে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে শতাধিক বিক্ষোভকারী।

বিক্ষোভকারীদের ওপর তাজা গুলি চালানোর ঘটনায় আন্দোলনকারীসহ অনেকেই পুলিশ প্রধানের পদত্যাগের দাবি তোলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগে বাধ্য হলেন পুলিশপ্রধান কোমে।

আন্দোলনকারী দাবি মেনে নিয়ে এর আগের দিনই নিজের পুরো মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। তিনি বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য আগেই বিতর্কিত ট্যাক্স বিল বাতিল করেছেন। তারপরও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে গেছে কেনিয়ার তরুণ প্রজন্ম।

প্রেসিডেন্ট রুটো বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসালিয়া মুদাভাদি এবং ডেপুটি প্রেসিডেন্ট রিগাথি গাচাগুয়া ছাড়া মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে বরখাস্ত করেন। এমনকি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট।