ইয়েমেনের দুই বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

ইয়েমেনের হুথিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুইটি বন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার রাতে হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ক্ষয়ক্ষতির তাৎক্ষণিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ইয়েমেনি গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরই ইসরায়েল এ হামলা চালালো। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

ইয়েমেনের হুদেইদা বন্দর

ইসরায়েল জানিয়েছে, হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তার জবাবে ইয়েমেনি বন্দর হোদেইদা ও আস-সালিফে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের অভিযোগ, মার্চ মাস থেকে হুথিরা ইসরায়েলের দিকে কমপক্ষে ৩৪টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্স-এ জানিয়েছে, তারা শুক্রবার হুথিদের ‘সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি দুটি বন্দরকে ‘অস্ত্র স্থানান্তর’ করার জন্য ব্যবহার করছিল।

হুথি ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ টিভিও দুটি বন্দরে ইসরায়েলি হামলার খবর জানালেও কোনও ক্ষয়ক্ষতির কথা জানায়নি। হতাহতের কোনও তাৎক্ষণিক তথ্য দেয়নি টেলিভিশনটি।

গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইয়েমেনের হুথিরা সাগরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জাহাজে হামলা শুরু করে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল ইয়েমেনে।

এই মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুথিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর শুক্রবারের হামলাই প্রথম ইসরায়েলি হামলা।

হুথিদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দিয়েছে এবং অন্যদিকে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের পথে আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে হুথিরা।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হুথিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ ‘শুরু মাত্র’। তারা ইরানের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের হাতিয়ারের বিরুদ্ধে আমরা চুপ করে বসে থাকব না এবং হুথিদের আমাদের ক্ষতি করতে দেব না। আমরা তাদের ওপর আরও শক্তিশালী আক্রমণ করব।