ফিল্ড মার্শাল মুনিরের মুখে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা, যুবসমাজকে ‘ইস্পাত প্রাচীর’ আখ্যা

পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ‘কৌশলগত দূরদর্শিতা’র জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় অঙ্গীকার এবং পাকিস্তানের জনগণের অদম্য মনোবলকে সম্মান জানাতে আয়োজিত এক বিশেষ নৈশভোজে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফিল্ড মার্শাল জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিল্ড মার্শাল মুনির ‘মারকা-এ-হক’ (সত্যের যুদ্ধ) নামে পরিচিত সামরিক অভিযানের সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সেনাবাহিনীর অবিচল আত্মত্যাগ এবং পাকিস্তানি জনগণের দৃঢ়তাকে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি ‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’ নামক সামরিক অভিযানে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে অসাধারণ সমন্বয়েরও প্রশংসা করেন।

এর আগে, শুক্রবার (২৩ মে) ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্সিতে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে জেনারেল আসিম মুনির ফিল্ড মার্শাল ব্যাটন গ্রহণ করেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় তার অসামান্য নেতৃত্ব, সাহস ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ এই সামরিক পদে উন্নীত করা হয়েছে।’

পরদিন, অর্থাৎ শনিবার, আয়োজিত নৈশভোজে ভাষণদানকালে ফিল্ড মার্শাল মুনির ভারতের চালানো তথ্যযুদ্ধের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুবসমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকাকে ‘ইস্পাত প্রাচীর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য পাকিস্তানি বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও কূটনীতিকদের পেশাদারিত্ব ও দৃঢ়তারও বিশেষভাবে প্রশংসা করেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, উপ-প্রধানমন্ত্রী, সিনেট চেয়ারম্যান, জাতীয় পরিষদের স্পিকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন প্রাদেশিক গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রীরা। এছাড়াও, চিফ অব জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটি, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানগণ, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।

আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলেই জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রজ্ঞা, সেনাবাহিনীর অতুলনীয় সাহস ও ত্যাগ এবং পাকিস্তানি জনগণের ইস্পাতকঠিন দেশপ্রেমকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এই সন্ধ্যাটি পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য এবং সম্মিলিত অঙ্গীকারের এক শক্তিশালী প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, যা দেশকে আরও শক্তি ও সংহতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্পকে জোরদার করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।