ইরানের ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্রের সব নাগরিক ও সেনা সদস্য এখন ‘বৈধ টার্গেট’

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ সামরিক হামলার কঠোর জবাব হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত সকল মার্কিন নাগরিক ও সামরিক সদস্যকে ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এই হুমকি দেওয়া হয়, যা পুরো অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা ও সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পতাকা

ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমন্বিত হামলা চালানোর পরপরই এই ঘোষণা আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি।” এই অভিযানে মার্কিন বাহিনী সরাসরি ইসরায়েলের সঙ্গে অংশ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

এই হামলাটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দেওয়া হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে চালানো হয়েছে। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি এই সংঘাতে সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ে, তবে তাদের যে ক্ষতি হবে তা নিশ্চিতভাবে অপূরণীয়।” সেই সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করায় এখন ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল তেহরান।

এদিকে, ইরানের এই হুমকির পর যেকোনো ধরনের পাল্টা আক্রমণ মোকাবিলায় ইসরায়েলজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দেশটিতে সকল শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত, জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং জরুরি নয় এমন সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও বাণিজ্যিক কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলের এই সর্বাত্মক প্রস্তুতি আসন্ন বিপদের গভীরতাকে নির্দেশ করছে।

ইরানের এই ঘোষণা এবং ইসরায়েলের সর্বাত্মক প্রস্তুতির ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য একটি ভয়াবহ সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি যে কোনো মুহূর্তে আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।