এসসিও সম্মেলনের আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে শির বৈঠক

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শনিবার বন্দর নগরী তিয়ানজিনে পৌঁছান গুতেরেস। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার ও সোমবার ২৫তম এসসিও শীর্ষ সম্মেলন এবং ‘এসসিও প্লাস’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ, ইউক্রেন সংকট এবং শুল্ক নিয়ে চলমান উত্তেজনার আবহে এই সম্মেলনটি আয়োজিত হচ্ছে।

সংস্থাটির পর্যায়ক্রমিক সভাপতি হিসেবে এবারের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন শি জিনপিং। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো এসসিও শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে চীন। সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান অংশ নেবেন।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের পাশাপাশি শি জিনপিং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন।

সম্মেলনের আলোচ্যসূচিতে ‘সাংহাই স্পিরিট’ বা সাংহাই চেতনাকে এগিয়ে নেওয়া, অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এবারের সম্মেলন থেকে তিয়ানজিন ঘোষণার যৌথ স্বাক্ষর এবং আগামী দশকের জন্য একটি কৌশল অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করতে বেশ কিছু দলিলও গৃহীত হবে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এসসিও একটি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট। এর সদস্য সংখ্যা ১০। দেশগুলো হলো—চীন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশ।

এদিকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করবেন চীনা নেতা। এতে তিনি পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে আতিথেয়তা জানাবেন।