সাবেক এফবিআই ও সিআইএ প্রধানদের গ্রেপ্তার দেখতে চান ট্রাম্প!

রাশিয়াগেট কেলেঙ্কারির তদন্তের জেরে এফবিআই-এর সাবেক পরিচালক জেমস কোমি এবং সিআইএ-এর সাবেক পরিচালক জন ব্রেনানকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি ‘বিরক্ত হবেন না’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার প্রকাশিত ‘ডেইলি কলার’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। সাবেক এই কর্মকর্তাদের টেলিভিশনে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি স্বস্তিবোধ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘এতে আমি মোটেও বিরক্ত হব না’।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের পক্ষ থেকে রাশিয়াগেট সংক্রান্ত নথি প্রকাশ এবং বিচার বিভাগে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়েরের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ‘হওয়া উচিত’, তবে তিনি এই প্রক্রিয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবেই নিজেকে জড়াচ্ছেন না।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত’। তবে তদন্তের ফলাফলের ওপরই তাদের অপরাধ নির্ভর করবে বলে তিনি যোগ করেন।

ট্রাম্প সাবেক এই কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ডকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অভিযোগ করেন, ‘তারা প্রতারণা করেছে, মিথ্যা বলেছে এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর অনেক জঘন্য কাজ করেছে’। তিনি তাদের ‘অসৎ মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘সব অপরাধ তারাই করেছে’।

সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার গ্রহণ করা হয় এবং এর কিছু অংশ শনিবার প্রকাশিত হয়। পুরো সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে সম্ভাব্য আঁতাতের অভিযোগ থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত। এফবিআই-এর ‘ক্রসফায়ার হারিকেন’ তদন্ত এবং পরবর্তীতে সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলারের তদন্তে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিললেও ট্রাম্প শিবির ও রাশিয়ার মধ্যে কোনো অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২০২৫ সালে বারাক ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তুলসী গ্যাবার্ডের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার বিভাগ একটি গ্র্যান্ড জুরি তদন্ত শুরু করে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে রাশিয়ার সঙ্গে মিথ্যাভাবে জড়ানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এই তদন্ত।