পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে জানাল ইসরায়েল

দখলকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে তেল আবিব। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে এই তথ্য জানিয়েছেন বলে রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘ওয়ালা’ এ বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সার রুবিওকে জানান যে, আগামী মাসগুলোর মধ্যেই দখলকৃত অঞ্চলটি সংযুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, এই পদক্ষেপের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলেও, ঘোষণার সময় নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। সূত্রমতে, ইসরায়েলের সংসদ (নেসেট) ইতোমধ্যে সর্বশেষ বৈঠকে পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট ইসরায়েল ‘ই-১’ নামের একটি বড় বসতি স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দখলকৃত পশ্চিম তীরকে দুই ভাগে বিভক্ত করা, যা উত্তরের রামাল্লা ও নাবলুস শহরকে দক্ষিণের বেথলেহেম ও হেবরন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে আলাদা করে ফেলবে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলি বসতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে মনে করে। জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে বলেছে যে, ক্রমাগত বসতি সম্প্রসারণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে হুমকির মুখে ফেলছে, যা কয়েক দশক ধরে চলা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনের মূল কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যাযজ্ঞ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের হাতে অন্তত ১,০১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭,০০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

গত জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এক পরামর্শমূলক মতামতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত সমস্ত বসতি খালি করার আহ্বান জানায়।