'কয়েক দিনের মধ্যে' ইসরায়েল সফরে যাবেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে আসছেন। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির আবহে ট্রাম্প ‘আগামী কয়েক দিনের মধ্যে’ ইসরায়েলে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ইতোমধ্যে পবিত্র শহর জেরুজালেমজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ‘কান’সহ একাধিক গণমাধ্যম আগেই জানিয়েছিল যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির খবরের মধ্যেই ট্রাম্প এই সফরের পরিকল্পনা করেছেন।

গাজা উপত্যকায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০-দফা একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পেশ করেন। তার এই প্রস্তাবে কমপক্ষে দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসের অংশগ্রহণ ছাড়া গাজায় একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, ফিলিস্তিনি এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সৈন্যদের নিয়ে একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠন এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সীমিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার জন্য নতুন প্রশাসন গঠন এবং পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আরব ও ইসলামী তহবিল গঠনের প্রস্তাবও এতে রয়েছে।

আরব ও মুসলিম দেশগুলো এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে কিছু কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিবরণ পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি