রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে এতো উদ্বিগ্ন কেন, প্রশ্ন সাবেক সিআইএ প্রধানের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, সাবেক সিআইএ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)-র প্রধান গত বুধবার বলেন, যুদ্ধ শুরু হলে মস্কোই বেশি অসুবিধায় পড়বে।

সিএনএন এর ‘এরিন বার্নাট আউটফ্রন্ট’ নামক একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ফোর্স জেনারেল মাইকেল হেইডেন আরও বলেন, ‘রাশিয়ানদের সাথে কেউ যুদ্ধে জড়াতে চায় না, অপরদিকে রাশিয়ানরাও আমাদের সাথে যুদ্ধে যেতে চায় না। তারা আমাদের তুলনায় সামরিক শক্তিতে অনেক দুর্বল‘।

আলাস্কা উপকূলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুইবার দুটি বোম্বার সনাক্ত করার ঘটনাকে নিরাশাজনক মন্তব্য করে তিনি রাশিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘এটির ফলে আমাদের আলাস্কান বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণের একটা ভালো সুযোগ হয়েছিল।'

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক হেইডেন এ সময় সিরিয়াতে সামরিক বাহিনীর হামলা এবং আফগানিস্তানে আইএসের ঘাটিতে আমেরকিার সবচেয়ে শক্তিশালী অপারমাণবিক বোমা হামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে তিনি সঠিক এবং বুদ্ধিদীপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। 

কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প এবং তার সাঙ্গপাঙ্গের সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে খুব বেশি ঘাটাঘাটি করছি।'

ট্রাম্প প্রশাসনের উত্তরপূর্ব এশিয়াতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কথা স্বীকার করে হেইডেন বলেন, 'সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তা, উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্সের দক্ষিণ কোরিয়া সফর এবং কোরিয়ান উপদ্বীপ এলাকায় যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজবহর পাঠানো তাদেরকে একটা ভুল বার্তা দিবে। আসলে বার্তাটি যতটা না উত্তর কোরিয়াকে উদ্দেশ্য করে দেয়া তার চেয়ে বেশি চীনকে সতর্ক করার জন্যে।’

এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, 'বর্তমান পথেই এগুতে থাকলে যদি কোথাও পরিবর্তন না হয় তবে উত্তর কোরিয়ানরা সিয়াটেলকে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে সক্ষম হবে। আর সেইটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুখকর হবে না।'