ইইউতে এক দশকে কর্মপরিবেশজনিত ক্যানসারে আক্রান্ত ৪০ হাজার

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) কর্মপরিবেশজনিত কারণে গত এক দশকে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোট ৪০ হাজার ৫৩৮ জন এমন ক্যানসারে আক্রান্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

বুধবার প্রকাশিত এই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে কর্মক্ষেত্রে ক্যানসারে আক্রান্তের ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে ৩ হাজার ৫০০টি। এটি ২০২২ সালের তুলনায় ১৯১টি বেশি। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩০৯।

কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার সৃষ্টিকারী (কার্সিনোজেনিক) উপাদানের সংস্পর্শে থাকার কারণে এসব ক্যানসার হয়। অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক সংস্পর্শের কয়েক দশক পর, এমনকি ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর রোগটি ধরা পড়ে।

তথ্যে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ৩ হাজার ৯৪, ২০২১ সালে ৩ হাজার ২৫৮ এবং ২০২২ সালে ৩ হাজার ৩০৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই সংখ্যাগুলো ২০১৩-২০১৯ সালের বার্ষিক গড় ৩ হাজার ৯০৯ জনের চেয়ে কম। কর্মপরিবেশ এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবের কারণে এমনটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্যানসারের ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া পেশাগত ক্যানসারের ৮০ শতাংশেরও বেশি ফুসফুসের ক্যানসার এবং মেসোথেলিওমা।

এর মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৯৯ এবং মেসোথেলিওমায় ১৬ হাজার ৪৬৯ জন। মেসোথেলিওমা একটি বিরল ক্যানসার, যা অ্যাসবেস্টসের সংস্পর্শে আসার কারণে হয়। এরপরই রয়েছে মূত্রথলির ক্যানসার, যার রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৬।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এই তথ্য ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবকে নির্দেশ করে। শ্রমিকদের ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করতে কঠোর পেশাগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তারা।