এবছর নোবেল পেলেন যারা

চলতি বছর নোবেলের সব শাখার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়েছিলো ৩ অক্টোবর থেকে। আজ ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে চলতি বছরের নোবেলের সব শাখার পুরস্কার ঘোষণা শেষ হয়েছে।

১৯০১ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন শুরু হয়। প্রতিবছর মোট ছয়টি বিষয়ে দেয়া হয় এ পুরস্কার। বিষয়গুলো হল- পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি।

চলতি বছর মানবদেহের জৈবিক ঘড়ি কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- জেফ্রি হল, মাইকেল রোজব্যাশ ও মাইকেল ইয়ং।

পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে গবেষণার জন্য। পেয়েছেন তিন মার্কিন পদার্থবিদ- রেইনার ওয়েস, ব্যারি সি ব্যারিশ ও কিপ এস থ্রোন। আর ক্রাইয়ো-ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপির বিকাশের জন্য এবার রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইজারল্যান্ডের জাক দুবোচে, জার্মান বংশোদ্ভূত ইওয়াখিম ফ্রাংক ও স্কটিশ বংশোদ্ভূত রিচার্ড হেন্ডারসন।

এদিকে চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন 'অব্যক্ত আবেগের রূপকার' জাপানি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের সাহিত্যিক কাজুও ইশিগুরো।

আর সবচেয়ে সম্মানজনক শান্তিতে নোবেল জিতে নিয়েছে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী প্রচারণা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন (আইসিএএন)।

অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে মনস্তত্বের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড এইচ থেলার পেয়েছেন অর্থনীতিতে নোবেল। অর্থনীতিতে নোবেল ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের মত পুরস্কার ঘোষণা শেষ করেছে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ম অনুযায়ী এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেকে একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদ ও নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু পরিমাণ নগদ অর্থ পাবেন। ২০১২ সালে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেয়া হয় না।

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়া হয়। অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদান শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল।