কিম বধে দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন অস্ত্র 'ব্ল্যাকআউট বোম্ব'

কিম বধে নতুন অস্ত্র নিয়ে এলো দক্ষিণ কোরিয়া। 'ব্ল্যাকআউট বোম্ব' নামে এই নতুন অস্ত্রটি পিয়ংইয়ংয়ের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে দাবি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। খুব শীঘ্রই উত্তর কোরিয়ার উপর এই অস্ত্রের হামলা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে দেশটি।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ রোববার দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাসায়নিকভাবে কার্বন গ্রাফাইটে তৈরি করা হয়েছে এই অস্ত্রটি। এটি বৈদ্যুতিক স্থাপনার উপর হামলা চালিয়ে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধাগ্রস্থ করবে। এ গ্রাফাইট বোম্ব পিয়ংইয়ংয়ের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে পারবে বলে দাবি করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী।

আনাদোলু এজেন্সি জানায়, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ পরমাণু বোমার পরীক্ষার চালায়। পিয়ংইয়ংয়ের এই অস্ত্র উন্নয়ন প্রতিহত করতে অনেক দিন ধরে মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।

আরেকটি কোরীয় যুদ্ধ সে অঞ্চলে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পিয়ংইয়ংকে প্রতিহত করতে বিকল্প কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণ নিয়ে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এক্ষেত্রে নিজেদের অনেকটাই সফল দাবি করছে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ার এজেন্সি ফর ডিফেন্স ডেভেলপমেন্ট (এডিডি) গ্রাফাইট বোমাটি তৈরি করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'ব্ল্যাকআউট বোম্ব' তৈরির সব প্রযুক্তি এখন এডিডির কাছে আছে। এখন যেকোন সময় বোম্বটি তৈরি করতে পারবো আমরা। গ্রাফাইট বোমাটি তৈরিতে আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করছে এডিডি। এরই মধ্যে পরবর্তী বছরের বাজেটে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ডলার বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনও আবেদন গ্রহণ করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।'

এএফপির তথ্য মতে, প্রাণঘাতী নয় বলে 'সফট বোম্ব' হিসেবে ডাকা হয় এজাতীয় বোম্বগুলোকে। এ বোম্বগুলো মূলত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। এরআগে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে এবং ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে এই জাতীয় বোম্ব ব্যবহার করেছিলো ন্যাটো জোট।